আলাপন সাহা: তিনি প্রচণ্ড ফিটনেস ফ্রিক। ছোটবেলা থেকেই বাটার চিকেন অসম্ভব পছন্দের। কিন্তু সে’সব কবেই ছেড়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ভারতীয় ক্রিকেট মহলে সবাই একটা কথা বলেন, বিরাট ফিটনেসের সঙ্গে কখনও আপস করেন না। আর শুধু বিরাট একা নন, এই ভারতীয় টিমটাই ফিটনেস নিয়ে অসম্ভব খুঁতখুতে।
মহম্মদ শামি (Mohammed Shami) একটা সময় প্রচুর মশালাদার খাবার খেতেন। বিরিয়ানি অসম্ভব পছন্দের মেনু ছিল ভারতীয় পেসারের। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, এইভাবে চললে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার কখনই দীর্ঘায়িত হবে না। শোনা যায়, তিনি বিরাটের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরই ডায়েট চার্ট বদল করেন। টিমের প্রত্যেকেই একটা নির্দিষ্ট ডায়েট মেনটেন করেন। এটাও শোনা গেল, লকডাউনের মধ্যে ক্রিকেটারদের কাছে বার্তা গিয়েছে, সবাই যেন ডায়েট ঠিক রাখে।
প্রায় তিন মাস ক্রিকেটের মধ্যে নেই। প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে সবসময় যে ডায়েট মেনে চলা সম্ভব, সেরকম নয়। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বলা হয়েছে, কেউ যেন খুব বেশি মশলাদার খাবার না খায়। টিমের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিয়মিত কথা হচ্ছে সবার সঙ্গে। ট্রেনার নিক ওয়েব যেমন সবার জন্য ফিটনেস চার্ট পাঠাচ্ছেন। তেমনই ডায়েট নিয়েও নির্দেশ গিয়েছে ক্রিকেটারদের কাছে। শোনা গেল, সেই নির্দেশ এসেছে মূলত কোচ রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri), ক্যাপ্টেন বিরাটের কাছ থেকেই।
[আরও পড়ুন: ‘কপিল বলল, ১৮৩ নিয়েই লড়ব’, তিরাশির বিশ্বজয়ের স্মৃতিচারণা শ্রীকান্তের]
খবর নিয়ে জানা গেল, ক্রিকেটারদের বলা হয় তারা যেন ফিটনেসের দিকে খুব বেশি করে নজর দেন। কেউ যেন ওজন বাড়িয়ে না ফেলেন। এক ক্রিকেটার ফোনে সংবাদ প্রতিদিন’কে বলছিলেন, “আমরা সবাই সবার সঙ্গে টাচে রয়েছি। এই পরিস্থিতিতে কী কী করা উচিত, সে’সব নিয়ে কথা বলছি। কমিউনিকেশনে কোনও গ্যাপ থাকছে না। বিরাট ভাই আর শাস্ত্রী স্যার ফিটনেসের ব্যাপারে খুব বেশি করে নজর দিতে বলেছেন। বলেছেন, এই সময় কোনও ক্রিকেট নেই। ফলে ডায়েট নিয়ে আরও বেশি কনসার্ন থাকতে হবে। বাড়িতে থাকলে সবকিছুই খেতে ইচ্ছে করে। ডায়েটে কন্ট্রোল করা আর ফিটনেস লেভেল ঠিক রাখা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। সে’সব নিয়েই কথা হয়েছে। বিরাটভাই বলেছে ওজন কোনওভাবেই যেন না বাড়ে। বাড়িতে থাকলেও ট্রেনিং স্কিপ করা যাবে না। সবাইকে ফিট থাকতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘অপরাধ’ সত্ত্বেও হল না শাস্তি! বড়সড় স্বস্তি পেলেন পূজারা, রাহুল-সহ ৫ ক্রিকেটার]
এর বাইরে খবর বলতে আর একটা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় দলের ক্যাম্প আগস্টে হতে পারে। বিসিসিআই (BCCI) আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের নিয়ে একটা ক্যাম্প করা হবে। প্রথম শোনা যাচ্ছিল জুলাইয়ে ক্যাম্প হতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আদৌ তা সম্ভব হয়তো হবে না। বিমান ব্যবস্থা চালু হলেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বিরাটদের শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবোয়ে সফর বাতিল করে করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সামনে কোনও সিরিজও নেই। শোনা গেল, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাই ক্যাম্প নিয়ে কোনওরকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না। পরিস্থিতি যদি ঠিকঠাক হয়ে যায়, তাহলে আগস্টে ক্যাম্প হতে পারে। দুটো সম্ভাব্য ভেন্যুর কথা শোনা যাচ্ছে। এক, ধর্মশালা। দুই, বেঙ্গালুরুতে এনসিএ। ধর্মশালার ক্ষেত্রে লজিস্টিক সমস্যা হতে পারে। দুটো ভেনু নিয়েই এখন বোর্ডে আলোচনা চলছে। বোর্ড কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল অবশ্য এখনই খুব বেশি কিছু বলতে চাইলেন না। ফোনে বলছিলেন, “আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। আমাদের টিম কাজ করছে। এখনই চূড়ান্ত করে কিছু বলব না।”
The post আরও পিছিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার প্রস্তুতি শিবির! টিমের ডায়েটে বিশেষ নজর শাস্ত্রী-কোহলির appeared first on Sangbad Pratidin.