সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪০ কোটির ভারতে মোট কর্মক্ষম পুরুষ ও নারীর সংখ্যা ৫৬.৫ কোটি। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই কৃষিজীবী। ১১.৪ শতাংশ কলকারখানায় উৎপাদন ক্ষেত্রের কর্মী। ২৮.৯ শতাংশ পরিষেবা ক্ষেত্রে কাজ করেন, ১৩ শতাংশ নির্মাণকর্মী। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। বাজেটের আগে সোমবার যা প্রকাশ্যে আনেন অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। যদিও ভাগ্যলক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে অকৃষি ক্ষেত্রে বছরে প্রায় ৮০ লক্ষ চাকরির প্রয়োজন, নিজেই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গত ছয় বছরে মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এর ফলে বেকারত্বের শতাংশের হার খানিক কমেছে। নির্মালা দাবি করেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বেকারত্বের হার কমে হয়েছে ২.৩ শতাংশ। কোভিড মহামারীর সময় শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্ব মাত্রাছাড়া পর্যায় পৌঁছায়। সেই পরিস্থিতি এখন সামলে ওঠা গিয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে কর্মক্ষেত্রে মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২৩.৩ শতাংশ, ২০২২-২৩ এ তা পৌঁছেছে ৩৭ শতাংশে।
[আরও পড়ুন: মহামারী পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় শক্তিশালী ভারতের ছবি আঁকলেন নির্মলা]
পরিকাঠাম উন্নয়নে সরকার জোর দিলেও পরিষেবা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে নির্মাণ ক্ষেত্রেও আগের তুলনায় কর্মসংস্থান বাড়ছে। তবে নির্মালা জানিয়েছেন, দেশে বেকার সমস্যার সমাধানে এবং অর্থনীতির গতি বাড়াতে অকৃষি ক্ষেত্রে বছরে কমপক্ষে ৭৮ লক্ষ ৫১ হাজার চাকরি প্রয়োজন। সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান হলেও, কর্মীদের দক্ষতায় কোম্পানিগুলি মোটা অঙ্কের লাভ করলেও সেভাবে কর্মীদের বেতন বাড়েনি। অথচ আগুনে মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষের জীবন।
[আরও পড়ুন: কমলাই কি পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট? উৎসবের প্রস্তুতি শুরু ‘দেশের বাড়ি’ তামিলনাড়ুতে]
প্রসঙ্গত, বাজেটের আগে সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন। সেই রিপোর্ট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির পর একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। তবে বর্তমানে দেশের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে।’’