সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মহামারীর তাণ্ডবের ফলে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ঠিক সেই সময়ে পুরো উলটো পথে হেঁটে ভারতীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধি হচ্ছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা দেখে গোটা বিশ্ব চমকে গিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের শিলাজি এলাকায় চার লেনের একটি ওভারব্রিজ উদ্বোধন করেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেলও। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের সমস্ত দেশের অর্থনীতিতেই প্রভাব পড়েছে। কিন্তু, সেসময় ভি শেপে বৃদ্ধি হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির (Indian economy)। যা দেখে বিস্মিত ও চমকিত হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। কোভিড-১৯ (Covid-19) ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজও খুব ভালভাবে এগোচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি দেশের সমস্ত নাগরিককে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: কাকার সঙ্গে মিলে বোনকে ধর্ষণ করে মুণ্ডচ্ছেদ দাদার! ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত ]
গত ৬ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পে যুগান্তকারী উন্নতি করেছে বলেও আজ দাবি করেন অমিত শাহ। এপ্রসঙ্গে বলেন, “গত ৬ বছরে পরিকাঠামো সংক্রান্ত প্রকল্পগুলিতে যা কাজ হয়েছে তা আগের সরকারের ২০ বছর কাজের সমান। এই সময়কালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেট্রো লাইন, বুলেট ট্রেন ও অন্যান্য অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছে কেন্দ্র। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতের গ্রাম ও শহরগুলির পরিকাঠামোগত মান উন্নয়নেও অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি রাস্তাগুলিরও উন্নয়ন হয়েছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী সেনসেক্স। গতমাসের শুরুতে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মানিটারি পলিসি ঘোষণা করতেই চাঙ্গা হয়ে যায় শেয়ার বাজার। এক ধাক্কায় ৩৫০ পয়েন্ট লাফিয়ে সেনসেক্সের সূচক পৌঁছায় রেকর্ড ৪৫ হাজার ২৩ পয়েন্টে। রেকর্ড হারে বাড়ে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটিও। ১০০ পয়েন্ট বেড়ে নিফটি পৌঁছায় ১৩ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে। সেটা ছিল ৪ ডিসেম্বর। তার পর থেকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার তা পেরিয়ে গেল ৫০ হাজারের গণ্ডি।