সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিতর্কের আবহে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের পাশে দাঁড়াল নয়াদিল্লি। কুটনীতির মঞ্চে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়ে, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। তখনই জয়শংকরের (Jaishankar) নৈশভোজের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন তিনি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশন হবে। অধিবেশনের ফাঁকে ২২ সেপ্টেম্বর একটি নৈশভোজের আয়োজন করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানেই আমন্ত্রিত হয়েছেন মোমেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই আমন্ত্রণ ভারত-বাংলাদেশ কূটনীতির পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইঙ্গিতবহ। দিল্লি যে ‘বন্ধু’ মোমেনের পাশেই আছে সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে এভাবে।
[আরও পড়ুন: সাঁওতালদের জন্য তৈরি ঘরের দখল নিচ্ছে মুসলমানরা! অভিযোগে তপ্ত বাংলাদেশের দিনাজপুর]
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে বিতর্ক উসকে মোমেন বলেছিলেন, হসিনা সরকারকে বাঁচাতে তিনি দিল্লির কাছে ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তাঁর এই বিতর্ককে হাতিয়ার করে বিরোধী রাজনৈতিক ও উগ্র মৌলবাদী সংগঠনগুলির দাবি, ভারতের কাছে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছে আওয়ামি লিগ। বিশ্লেষকদের দাবি, ভারতবিরোধের নামে আসলে বাংলাদেশে মৌলবাদীদের কার্যকলাপ বাড়ছে। হাসিনা সরকারের পতন হলে ফের ক্ষমতায় আসবে পাকিস্তানপন্থীরা। আর এমনটা হলে আবারও অসম-সহ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সন্ত্রাসবাদ বাড়বে। আর কিছুতেই এমনটা হতে দিয়ে চায় না নয়াদিল্লি।
এদিকে, বাংলাদেশে (Bangladesh) পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে গদি খোয়াতে পারেন মোমেন। চলতি মাসে হাসিনার ভারত সফরে মোমেন ছিলেন না। এহেন ডামাডোলে জল্পনা আরও বাড়িয়ে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছে, মোমেনের মন্ত্রিত্ব থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার কেবলই প্রধানমন্ত্রীর। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি মোমেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।