সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) গণতন্ত্র ফেরাতে উদ্যোগী ভারত। পড়শি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে গত বুধবার দু’দিনের সফরে মায়ানমার যান ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সেখানে সেনাশাসকদের সঙ্গে একাধিক ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, জননেত্রী অঙ্গ সান সু কি’র সঙ্গে শ্রিংলার সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি জুন্টা।
[আরও পড়ুন: তালিবান আমলে আফগানিস্তানে কাজ হারিয়েছেন অন্তত ৬ হাজার সাংবাদিক]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বর্তমানে বন্দি সু কি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব শ্রিংলা। কিন্তু তাঁকে সেই অনুমতি দেয়নি ‘সর্বশক্তিমান’ সামরিক জুন্টা। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রিংলার আবেদন খারিজ করে দেয় মায়ানমারের ‘স্টেট অ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ কাউন্সিল’। এই বিষয়ে এক বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মায়ানমারের সেনাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন শ্রিংলা। গত মাসে, মণিপুরে মায়ানমারে চূড়াচাঁদপুর জেলায় অসম রাইফেলসের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি ও তাঁর স্ত্রী পুত্রের। শহিদ হন আরও ৪ জওয়ান। মনে করা হচ্ছে জঙ্গিরা হামলার পর মায়ানমার পালিয়ে যায়। ওই বিষয়টি নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন বিদেশ সচিব।
গত বুধবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর দু’দিনের মায়ানমার সফরে যান শ্রিংলা। সেখানে সেনাপ্রশাসন, বিদ্বজন ও সু কি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’-র শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রিংলা। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সীমান্তে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ বৈঠক হয়েছে। দেশটিতে দ্রুত গণতন্ত্র ফেরানো এবং বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিদেশ সচিব।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি-কে চার বছরের জেলের সাজা শোনায় মায়ানমারের একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে সেনার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া ও করোনাবিধি লঙ্ঘন করার ‘অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে’। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছিলেন, সু কি’র সাজা নিয়ে ভারত বিচলিত। পড়শি এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মায়ানমারের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি আইন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মেনে চলা উচিত। দেশের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সব পক্ষেরই উচিত আলোচনার পথে হাঁটা।