সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রিও অলিম্পিকের দীপা কর্মকারকে মনে করালেন অদিতি অশোক। নিঃশব্দে জিমন্যাস্টিক্সের শেষ পাঁচে পৌঁছে গিয়ে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল পদক। ঠিক একইরকম ভাবে দুর্দান্ত পারফর্ম করে দেশে মহিলা গলফের নবজাগরণ ঘটালেন অদিতি। ফাইনালে চতুর্থ স্থানে শেষ করায় একটুর জন্য পদক অধরা রয়ে গেল। তবে তাঁর এই স্বপ্নের দৌড়কে কুর্নিশ জানাচ্ছে দেশবাসী।
পনেরো দিন আগেও যা ছিল স্বপ্ন, পনেরো দিন পর তা ঘোরতর বাস্তব হয়ে ওঠে। টোকিও অলিম্পিক শুরুর আগে কেউ ভাবতেও পারেননি গলফে পদকের এত কাছাকাছি পৌঁছে যাবে ভারত। আমেরিকা, জাপানের মতো দেশের কাছে গলফে ভারত নেহাতই শিশু। টোকিওয় অনির্বাণ লাহিড়ীকে নিয়েই যেটুকু আশা ছিল দেশবাসীর। কিন্তু তিনি ছিটকে যাওয়ার পরও যে গলফ থেকে পদক জয়ের আশা করা যেতে পারে, সেটাই ছিল কল্পনাতীত। সেই স্বপ্নই দেখিয়েছিলেন অদিতি। শনিবার গলফের ফাইনালে রাউন্ডেও নিজের আগের পারফরম্যান্সই ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন ভারতীয় গল্ফার। বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটানোর আগে তৃতীয় স্থানেও ছিলেন তিনি। কিন্তু বৃষ্টি থামার পর আর শেষরক্ষা হল না। চতুর্থ স্থানে শেষ করে পদক হাতছাড়া করেন ২৩ বছরের অদিতি।
[আরও পড়ুন: India vs England: ফের ভিলেন বৃষ্টি, সময়ের আগেই শেষ কোহলিদের তৃতীয় দিনের খেলা]
তবে অলিম্পিকে পৌঁছনোর পথটা ছিল বেশ দুর্গম। গত মে-জুন মাসে করোনায় (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছিলেন অদিতি। বাধ্য হয়েই ফিরতে হয়েছিল বাড়ি। বেশ কয়েকটা টুর্নামেন্টও মিস করেছিলেন। পরে ঠিক হয়ে খেলতে শুরু করলেও বুঝতে পেরেছিলেন করোনা অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে তাঁকে। ফাইনালে ওঠার পরও সে কথা শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। বেঙ্গালুরুর গলফার বলেন, “আগের মতো শক্তি নেই। নাহলে দুই নয়, এক নম্বরে শেষ করতে পারতাম।” দু’নম্বর স্থানে থেকে ফাইনালে ওঠা অদিতিকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল ১৩০ কোটির দেশ। কিন্তু শেষমেশ হাতছাড়া হল পদক। তবে ভারতের গলফের ইতিহাসে নতুন কাহিনি রচনা করে গেলেন অদিতি।
তাঁর এই কৃতিত্বের জন্য টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেখেন, পদক হাতছাড়া হলেও অদিতির গলফ কোর্সের এই সাফল্য দেশকে স্বপ্ন দেখাবে।