সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন ও পাকিস্তানের বুকে কাঁপন ধরিয়ে জলপথে সমরসজ্জায় আরও শক্তিশালী ভারত। এবার জলে অবাধ রাজত্ব চালাতে নৌসেনার হাতে আসছে আরও এক অত্যাধুনিক স্করপেন সাবমেরিন। বুধবার মাজগাঁও ডক থেকে যাত্রা শুরু করে স্করপেন ক্লাসের পঞ্চম ডুবোজাহাজ ‘INS Vagir’।
[আরও পড়ুন: প্যাংগং থেকে শুরু হবে সেনা অপসারণ, সীমান্তে সংঘাত এড়াতে পদক্ষেপ ভারত-চিনের]
এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোয়া থেকে সাবমেরিনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়কের স্ত্রী বিজয় নায়ক। ভারতীয় নৌসেনার ‘Project-75’ এর অন্তর্গত ফরাসি অস্ত্রনির্মাতা DCNS-এর ডিজাইন করা ছ’টি স্করপেন বা কালভরি ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করছে ভারত। এরমধ্যে INS Kalvari ও INS Khanderi নামের দু’টি স্করপেন সাবমেরিন ভারতীয় নৌসেনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। INS Karanj ও INS Vela’র ‘সি ট্রায়াল’ সাগরে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। এই ক্লাসের অন্তিম সাবমেরিন INS Vagsheer-এর নির্মাণ চলছে।
এই ডুবোজাহাজ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে স্টেট অফ দ্য আর্ট টেকনোলজি। প্রি-গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে প্রায় নিঃশব্দে শত্রুকে জলের নিচে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে ‘INS Karanj’। প্রায় ৬৭ মিটার লম্বা, ওজনে দেড় হাজার টনেরও বেশি এই ডুবোজাহাজ চওড়ায় প্রায় সাড়ে ছয় মিটার। এটি এমন ভাবে বানানো হচ্ছে যাতে দীর্ঘক্ষণ জলের তলায় ডুবে থাকতে পারে। ‘স্করপেন’ থেকে অনায়াসে যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যাবে। শুধু তাই নয় প্রায় শব্দহীন এই সাবমেরিনটিকে জলের তলায় খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। গোপনে শত্রুর জলসীমায় ও বন্দরের চারপাশে ‘মাইন’ বিছিয়ে দিতে এটির জুড়ি মেলা ভার। উল্লেখ্য, ২০১৭-সালেই যাত্রা শুরু স্করপেন ক্লাসের ‘INS Kalvari’ ও ‘INS Khanderi’। ওই দুই ডুবোজাহাজও অত্যন্ত ঘাতক। ওই সাবমেরিন দুটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক টর্পেডো ও মিসাইল যা দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকা লক্ষ্যেও নির্ভুল ও বিধ্বংসী আঘাত হানতে সক্ষম। স্টেলথ প্রযুক্তি বা লুকিয়ে থাকার অসাধারণ ক্ষমতার জন্য এই সাবমেরিনটি ‘সোনার’ বা ‘রেডার’-এ প্রায় অদৃশ্য।