সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডায় টার্গেট কিলিংয়ের শিকার ভারতীয়রা! জানা গিয়েছে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেদেশে। খুনের অভিযুক্ত হিসাবে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিকভাবে জেরা করে পুলিশের অনুমান, ইচ্ছাকৃতভাবে বেছে নিয়ে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কানাডার সাংসদ চন্দ্র আর্য অভিযোগ এনেছিলেন যে কানাডায় বসবাসকারী হিন্দু ভারতীয়দের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে খলিস্তানিরা। তার পরেই প্রকাশ্যে এল এই খুনের ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার (Canada) সারে প্রদেশে। সেখানকার পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম যুবরাজ গোয়েল। ২৮ বছর বয়সি যুবরাজ স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ২০১৯ সালে কানাডায় গিয়েছিলেন। পড়াশোনা শেষ করার পরে সেলস এক্সিকিউটিভ হিসাবে কানাডায় চাকরি শুরু করেন। কয়েকদিন আগে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতিও পেয়েছিলেন যুবরাজ। পুলিশের তরফে আরও জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে শুটআউট, দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা তৃণমূল কর্মী]
গত ৭ জুন স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নটা নাগাদ গুলি চলার খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয় ১৬৪ স্ট্রিট এলাকায়। সেখানে গিয়েই যুবরাজের মৃতদেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। তার পরে তল্লাশি চালিয়ে আটক করা চার দুষ্কৃতীকে। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। জানা গিয়েছে, আটক চার দুষ্কৃতীদের নাম মনবীর বাসরাম, সাহিব বসরা, হরকিরাত ঝুটি এবং কেলিয়ন ফ্রানকোয়িস। প্রথম তিনজন সারের বাসিন্দা, শেষ জনের বাড়ি ওন্টারিওতে।
খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে চারজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ কর্তা টিমোথি পিয়েরোত্তি জানান, "প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, টার্গেট কিলিং করেছে চার অভিযুক্ত। কিন্তু ঠিক কী কারণে যুবরাজকে হত্যা করা হল, তা এখনও জানা যায়নি। এখনও এই খুনের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।" উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের (Punjab) লুধিয়ানার বাসিন্দা ছিলেন যুবরাজ। তাঁর বাবা কাঠের ব্যবসা করেন এবং মা গৃহবধূ। বিদেশে পড়তে যাওয়া পুত্রের এমন পরিণতিতে তাঁরা বিপর্যস্ত। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুদৃশ্যের পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিল কানাডার অন্যতম প্রধান শহর ভ্যাঙ্কুভার। কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদের দাবি, কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দিতেই এমনটা করছে খলিস্তানিরা।