shono
Advertisement

পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা মোদির, ইউক্রেনের আবেদনেই কি সাড়া দিল ভারত?

ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে মোদিকে অবগত করেছেন পুতিন।      
Posted: 10:47 PM Feb 24, 2022Updated: 11:03 PM Feb 24, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। পুতিনের যুদ্ধবিমানের বোমায় বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি খুইয়ে কার্যত কোণঠাসা জেলেন্সকির ফৌজ। কিয়েভ দখল সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলেই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। এপর্যন্ত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেই আপাতত ক্ষান্ত দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকা। এহেন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মেট্রো স্টেশনে শেষ দেখা! নীরব প্রশ্নে মুখর যুগল]

প্রধানমন্ত্রী দপ্তর সূত্রে খবর, পুতিনের কাছে ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় পড়ুয়া-সহ অন্য নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে সমস্যার কূটনৈতিক সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন নমো। ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে মোদিকে অবগত করেছেন পুতিন। আরও জানা গিয়েছে যে, যুদ্ধ থামিয়ে ন্যাটো সামরিক জোটের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।        

বলে রাখা ভাল, আজই লড়াই থামাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছে ইউক্রেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করেছে দেশটি।ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ড. ইগর পোলিখা বলেন, “আমি জানি না কতজন রাষ্ট্রনেতার কথা পুতিন শুনবেন। কিন্তু আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে ধ্বনি তুললে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন পুতিন।” এবার সেই আহ্বানেই সাড়া দিয়েছেন নমো বলেও মত বিশ্লেষকদের একাংশের। 

গত মঙ্গলবার রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয় রাশিয়া। ফলে ক্রিমিয়ার পর আবারও বিভক্ত হয় ইউক্রেন। এহেন চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা বৈঠক। কিন্তু তাতে ফল বিশেষ হয়নি। উলটে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ সকালেই ইউক্রেনে (Ukraine-Russia War) সামরিক অভিযানের ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। অর্থাৎ কার্যত ইউক্রেন দখলের পথেই হাঁটল মস্কো। রাশিয়ার এই চরম পদক্ষেপে কার্যত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডঙ্কা বাজিয়ে দিল বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। যার বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে গোটা বিশ্বে।

এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছে ভারত। দেশটিতে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়া-সহ প্রায় ১৮ হাজার নাগরিককে দেশে ফেরাতে সচেষ্ট নয়াদিল্লি। প্রয়োজনে বায়ুসেনার মদত নেওয়া হতে পারে বলেও খবর। ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেন সরকারকে চিঠি দিয়েছে ভারতের দূতাবাস। এই সমস্ত বিষয়ে নীতি নির্ধারণে আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনেই বৈঠক ডাকা হয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। অন্যদিকে পুতিনকে বেকায়দায় ফেলতে রাশিয়ার উপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। সেই বিষয়ে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, যে ওই নিষেধাজ্ঞার কী প্রভাব ভরতের উপর পড়বে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মেট্রো স্টেশনে শেষ দেখা! নীরব প্রশ্নে মুখর যুগল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement