সুব্রত বিশ্বাস: ‘ভাঁড়ে মা ভবানী।’ যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য দরকার টাকার। আর তারই অভাব রেলে। আয় বাড়াতে রেল এবার উপদেশ চাইল। এই উপদেশ যেমন দিতে পারবেন। রেল আধিকারিক বা রেলকর্মীদের পাশাপাশি উপদেশ দিতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রী থেকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এমনকী একেবারে সাধারণ মানুষও। ডিজিটাল জমানায় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই উপদেশ গ্রহণ করবে রেল। ‘ইনোভেট.মাইগভ.ইন’ সাইটে লগ ইন করে এই উপদেশ দিতে পারবেন সবাই।
[CBSE-তে প্রশ্নপত্র বিভ্রাট, বাতিল ২টি পরীক্ষা]
রেল জানিয়েছে, মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের নির্দেশে এই উপদেশ ধারাবাহিকভাবে গ্রহণ করবে রেল। উপদেশগুলির গুরুত্ব বুঝে বাছাই করে প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হবে। রেলের এই অভাবের মূল কারণ ব্যাখ্যা করে রেল জানিয়েছে, রেলের সামাজিক দায়িত্ব অনেক। যাত্রী ভাড়ায় প্রচুর ভরতুকি দিতে হয় রেলকে। পাশাপাশি অতি প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বহনের চার্জও খুব কম। যেমন সার থেকে নুন, চাল, ডাল, গম, চিনি, রান্নার গ্যাস-সহ বহু সামগ্রী। প্রচুর ভরতুকি দিতে গিয়ে যাত্রীদের মনোগ্রাহী পরিষেবা দিতে পারছে না রেল। কারণ এই মনোগ্রাহী পরিষেবা দিতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। যা রেলের ভাঁড়ারে নেই। অথচ এই ব্যবস্থা করা উচিত বলে স্পষ্ট করেছে রেলমন্ত্রক।
আয় বাড়ানোর জন্য আগেও বহু প্রকল্প নিয়েছে রেল। স্টেশনগুলিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগানো, বিজ্ঞাপন দেওয়া, বিভিন্ন সংস্থাকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্র তৈরি করে ভাড়া দেওয়া। পিপিপি মডেলে নানা ধরনের বিনোদনস্থল গড়া, বেশ কিছু জিনিস বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া। বা টিকিট বিক্রির উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে। এখন রেলের জায়গাগুলিতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বাড়ি তৈরি ও কর্মীদের বাড়ি তৈরির প্রকল্প করেও আর্থিকভাবে তেমন লাভবান হয়নি রেল। এবার আরও বাণিজ্যিকভাবে প্রশস্ত হতে চেয়ে উপদেশের পরিকাঠামোগত পরিবর্তন এনেছে। যে কেউ এই উপদেশ পাঠাতে পারেন।
[অপারেটরের ভুল, গন্তব্য বদলে ভুল স্টেশনে একজোড়া ট্রেন]
The post যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতে কীভাবে আয় বাড়বে, জনতার উপদেশ চাইছে রেল appeared first on Sangbad Pratidin.