সুব্রত বিশ্বাস: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে চরম বিপর্যস্ত রেল (Indian Railway)। আর এবার ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর আতঙ্কেও তটস্থ তারা। বুধবার রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা পর্বে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আগাম সতর্ক হতে রেলকে পরামর্শ দিল রাজ্য। নির্দেশের পর ঝড় মোকাবিলায় নিজেদের পরিকাঠামো সাজাতে ব্যস্ত রেল।
আগামী ২৫-২৬ মে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Yash) আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিনগুলিতে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। দুই ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং, অপারেশন, সিগন্যালিং বিভাগগুলিকে ঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করার সব রকমের প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা বলেন, “হাওড়া (Howrah) কারশেড এলাকা জলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেই এলাকা থেকে সমস্ত ট্রেন সরিয়ে অন্যত্র রাখার পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা উপযুক্ত রাখা হবে। জল তুলে ফেলার জন্য পাম্পগুলিকে সক্রিয় রাখা হবে। এছাড়া ওভারেহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি হওয়ার আশঙ্কায় টাওয়ার ভ্যান প্রস্তুত রাখার সঙ্গে ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা কাজের জন্য হাজির থাকতে হবে। একইরকমভাবে ওভারহেডের তার ও রেলের অন্য জায়াগায় গাছের ডাল পড়ার পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মীদের মোতায়েন রাখা হবে।
ঝড়ের তাণ্ডবে কারষেড এলাকা বা অন্য রোডসাইড এলাকায় যেখানে ট্রেনগুলি রাখা হবে, সেই বগিগুলি যাতে গড়িয়ে বিপত্তি না ঘটায় সেজন্য লাইনের সঙ্গে বগিগুলিকে বেঁধে রাখা হবে চেন দিয়ে।”
[আরও পড়ুন: ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি নাকি বৃষ্টিতে মিলবে আরাম? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনও। ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “ডিভিশনের মধ্যে ঝড়ের বেশি প্রভাব পড়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। সব রকমের ব্যবস্থার সঙ্গে রেলের বিপর্যয় সামলানোর মতো বিভাগগুলিকে হাজির রাখা হবে নির্দিষ্ট এলাকায়। নদী ব্রিজগুলির পরিস্থিতি আগাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খতিয়ে দেখা হবে। একই সঙ্গে জলস্তর বাড়লে নদী ভাঙনের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে সব সময় ব্রিজের কাছে নজরদারি চালাবেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীরা। এছাড়া লাইনে পেট্রোলিংয়ে যুক্ত কর্মীদের ধস নামার দিকটিতে বিশেষ নজর দিতে হবে।”