সুব্রত বিশ্বাস: টাটা সুমোর সঙ্গে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসের ধাক্কার ঘটনায় গেটম্যানকে ‘ক্লিনচিট’। শিয়ালদহের সিনিয়র ডিসিএম পবনকুমার জানান, শহরতলির লেবেলক্রসিংগুলি ইন্টারলক সিস্টেমের। গেট পড়ার সময় বাইরে লাল সিগন্যাল ও সাইরেন বাজে। পাশপাশি দু’দিকের গেটের বুম একইভাবে একই সঙ্গে পড়ে। কোনওভাবে সড়ক যান এক দিক দিয়ে ঢুকে পড়লে অন্য দিক থেকে ম্যানুয়ালি বের করে দেওয়া হয়। রবিবার রাতে গেট পড়ার সময় টাটা সুমোর চালক ভেবেছিলেন, দ্রুত চালিয়ে দু’দিকের গেট অতিক্রম করে ফেলবেন। কিন্তু তা পারেননি। ফলে এই সংঘর্ষ।
রেলের দাবি, গেটের ভিতরে ঢুকে পড়ার পর বিপদ আসন্ন জেনে চালক লাইন থেকে কোনও ক্রমে গাড়িটি বের করে সরে পড়েন। কিন্তু ইঞ্জিন চওড়া হওয়ায় তাতে ধাক্কা লাগে। দমদমের সাংসদ সৌগত রায় এই দুর্ঘটনাকে রেলের সিস্টেমের ব্যার্থতাকেই দায়ী করেছে। তিনি বলেন, দু’দিকের রেল গেট না পড়লে সিগল্যাল ক্লিয়ার হয় না। পাশাপাশি তিনি বলেন খড়দহের উড়ালপুল নিয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে কিছু বাড়ি উচ্ছেদ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ভোট টানতে ‘সাজানো’ হামলা? ট্রাম্প প্রাণে বাঁচতেই জোর চর্চা মার্কিন মুলুকে]
তবে এদিন শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, ব্যস্ত সড়কপথ থাকায় বেশ কয়েক জায়গায় রোড ওভারব্রিজ করার জন্য বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে কিছু দিন আগে। কারণ, সেই গেটের জন্য রেলের সময়ানুবর্তিতা মার খাচ্ছে। সেগুলি বারাসত ১০, ১১ রেল গেট। খড়দহ ৯ নম্বর, বেলঘরিয়া ৪, শ্যামনগর ও কল্যাণী ৪২ নম্বর গেট। এজন্য রাজ্যের কাছে সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। বোর্ডর অনুমোদন মিললেও কেন্ত্রীয় নীতি মেনে তড়িঘড়ি কাজ শেষ করতে হবে। বিলম্ব করা চলবে না। এজন্য সব প্রস্তুতি শুরু করেছে রেল। এদিকে সিগন্যাল উপেক্ষা করা ও জোর করে বেআইনি কাজের অপরাধের ধারায় দুই চার চাকার চালকে গ্রেপ্তারও করছে আরপিএফ। শিয়ালদহের ডিআরএম দীপক মিত্তলের কথায়, "লাল সিগন্যাল ও হর্ন উপেক্ষা করে কেউ লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়ি প্রবেশ করাবেন না। এটা চরম অপরাধ। আগামী সময়ে রেল এজন্য কড়া ব্যবস্থা নিতে কসুর করবে না।"