সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাবু কালচার’ বন্ধ করতে আগেই সরকারি আধিকারিকদের গাড়ি থেকে লালবাতি হটেছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবার রেলেও উঠে যাচ্ছে ভিআইপি সংস্কৃতি। এখন থেকে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বা অন্যান্য সদস্যরা পরিদর্শনে গেলে জেনারেল ম্যানেজারদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক থাকছে না।
[ভারত-চিন সীমান্তে লালফৌজকে ‘নমস্তে’র সবক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর]
প্রায় ৩৬ বছরের পুরনো নিয়মের অবসান ঘটাতে চলেছে রেলমন্ত্রক। ১৯৮১-তে এক সার্কুলার জারি করে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সফরের সময় ম্যানেজারদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়। রেলের বড়কর্তারা বিদায় নেওয়ার সময় রেল স্টেশন বা বিমানবন্দরে ফুল বা উপহার নিয়ে এতদিন হাজির থাকতে হত জেনারেল ম্যানেজারদের। মোদির জমানায় সেই বাবুয়ানির অবসান ঘটতে চলেছে। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানিয়েছেন, কোনও আধিকারিককে কোনও উপহার দেওয়া হবে না।
এছাড়াও রেলের প্রায় ৩০ হাজার কর্মী বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্তাদের বাড়ির কাজে সাহায্য করেন। সাধারণত, রেলের ট্র্যাকম্যানদের এই সব কাজে নিয়োগ করা হত। কিন্তু এবার সেই সব ছেড়ে তাঁদের ফের রেলের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই গত এক মাসে প্রায় ৭ হাজার কর্মী রেলের কাজে পুনরায় ফিরে এসেছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এই বিষয়ে সার্কুলার জারি হয়। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, এখন আর ওই প্রোটোকল মেনে চলার কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, রেলের কর্তাদের বেশি দামী কোচে যাতায়াত করার প্রয়োজন নেই। তাঁরা যেন সাধারণ এসি টু বা থ্রি টায়ার কোচেই যাতায়াত করেন।
[তৈরি ৩০০ প্রশ্ন, অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে জেরা হানিপ্রীতকে]
The post মোদির জমানায় রেলেও ‘ভিআইপি’ সংস্কৃতি উঠছে appeared first on Sangbad Pratidin.