সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢিমেতালে কাজ করছিলেন তাঁরা। সেই অপরাধে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হল উনিশ জন রেল অফিসারকে। কিছুদিন আগেই একটি বৈঠকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Rail Minister Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছিলেন, রেলের বেশ কয়েকটি কাজ খুবই ধীরগতিতে চলছে। এরকম উদাসীন আচরণ মোটেও বরদাস্ত করা হবে না। এক দিনে একসঙ্গে এতজনকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে সরকারি চাকরি থেকে, এমনটা সম্ভবত প্রথমবার ঘটল। অবসর নিতে বলা অফিসারদের মধ্যে দশজনই জয়েন্ট সেক্রেটারি পদের সমকক্ষ।
জানা গিয়েছে, এই ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস আইনের ৫৬(জে) ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের এই ধারায় বলা হয়েছে, সততা এবং কার্যকারিতার সঙ্গে কাজ না করলে সরকার সেই কর্মীকে সময়ের আগেই অবসর নিতে বাধ্য করতে পারে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রেলওয়েতে (Indian Railways) কাজের চাপ অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। রেলমন্ত্রী খুবই কঠিন কাজ করতে দিচ্ছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেল আধিকারিক এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেক কর্মীই আছেন যাঁদের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এই কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করছেন না। প্রচণ্ড চাপের কারণে ইতিমধ্যেই ৭৭ জন রেল আধিকারিক ভিআরএসের আবেদনও করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
[আরও পড়ুন: দাবদাহের মাঝেই স্বস্তির খবর, দেশে আগাম বর্ষার পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের]
যেসব অফিসারদের বাধ্যতামূলক অবসর নিতে বলা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল এবং সিগনালিং বিভাগ থেকে রয়েছেন চারজন। এছাড়াও মেডিক্যাল-সহ অন্যান্য বিভাগ থেকেও অফিসারদের ছাঁটাই করা হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারছেন না যেসব কর্মীরা, তাঁদের বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সমীক্ষার পরে দেখা যায়, বহিষ্কৃত অফিসারদের রিপোর্ট খুব খারাপ। রেলের আরেক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সকলের কাছে খুব পরিষ্কার ভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে। অলস বা অসৎ ব্যক্তিদের কোনও জায়গা নেই ভারতীয় রেলে”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, সরকারের সকল দপ্তরেই এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কর্মীরা কাজ না করলে সরকারি হস্তক্ষেপ করে তাঁদের কাজ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে প্রায় ১০০ জন সরকারি কর্মচারীকে অবসরে পাঠানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও রেলে বেশ কয়েকজন অফিসারকে একই কারণে তাড়াতাড়ি অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছিল।