সুব্রত বিশ্বাস, কলকাতা: রেলে এখন চলো ‘রং বদলাই’ ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই রেল যাত্রীরা রং বদল দেখবেন। ডার্ক ব্লু রঙের কোচ এবার বিদায় নিচ্ছে৷ তার পরিবর্তে মেল ও এক্সপ্রেসের কামরাগুলি শীঘ্রই হয়ে উঠবে গেরুয়া৷ রেলের গৈরিকীকরণের কাজেও লেগেছে বাড়তি গতি৷ আনা হচ্ছে বৈচিত্র্য৷
১৯৯০ ইট লাল রংকে বিদায় দিয়ে ডার্ক ব্লু রঙে রাঙানো হয় মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে। সে রং এখন চোখের বিরাম দেয় না। ফলে এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা৷ নর্দার্ন রেলে এই রংকে পাইলট প্রোজেক্ট ধরে দিল্লি-পাঠানকোট এক্সপ্রেস-সহ ১৬ কোচকে এই পরিবর্তিত রঙে সাজানো হয়েছে। চলতি মাসেই তা প্রকাশ্যে আসবে৷ এমন রঙে প্রাথমিকভাবে সাজানো হবে ৩০ হাজার কোচকে৷ তবে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্তর রং অপরিবর্তিত থাকবে৷
[উপত্যকায় রাজ্যপাল শাসনে সিলমোহর রাষ্ট্রপতির]
শুধু কোচে রং নয়। স্বাচ্ছন্দ্যেও কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না রেল। বায়ো টয়লেটকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চলেছে রেল। একেবারে বিমানের শৌচালয়ে ব্যবহৃত ভ্যাকুউম বায়ো টয়লেট এবার বসবে ট্রেনের শৌচালয়ে। এ মাসের মধ্যেই ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৬৫টি বায়ো টয়লেট ৩৭ হাজার ৪১১টি কোচে লাগানোর কাজ শেষ হচ্ছে৷ এজন্য কোচপিছু খরচ পড়ছে এক লক্ষ টাকা। দেশে বেশিরভাগ ট্রেনেই এই বায়ো টয়লেট লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রেল বিমানের মতো ভ্যাকুউম বায়ো টয়লেট লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
[স্ত্রীর রয়েছে দাড়ি! বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে স্বামী]
এক-একটি এই ভ্যাকুউম ক্লিনারের পিছনে খরচ হবে ২.৫ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই এমন ৫০০টি ভ্যাকুউম ক্লিনার কেনার অর্ডার দিয়েছে রেল। খরচ সামলাতে রেল শৌচালয়ে জলের ব্যবহার কমিয়ে সেই অর্থ বিকল্প হিসাবে এখানে এই ব্যবস্থাতে খরচ করতে চায়। ২০১৯ সালের মধ্যে ১৮,৭০০ কোচে বাদবাকি বায়ো টয়লেট লাগানো হয়ে যাবে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বোর্ড কর্তারা৷ রেল কর্তাদের কথায়, উন্নত মানের পরিষেবা এখন লক্ষ্য। ট্রেনে স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে আলো থেকে সিট, মোবাইলচার্জার থেকে ফুড ট্রে সবেতেই রেল পরিবর্তন এনেছে বলে তাঁরা জানান৷
The post নীল সাদার বদলে এবার গেরুয়া হচ্ছে ভারতীয় রেল, শুরু রং বদলের কাজ appeared first on Sangbad Pratidin.