সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের (Consumer Commission) নির্দেশে এক যাত্রীকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রেল। দুরন্ত এক্সপ্রেসের (Duranta Express) একটি কামরায় এসি (AC) কাজ করেনি, অভিযোগ করেছিলেন ওই যাত্রী। সেই মামলাতেই মুম্বইয়ের (Mumbai) ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, যাত্রীর শারীরিক ও মানসিক অশান্তি এবং আইনি লড়াইয়ে খরচের পুরটা দিতে হবে ভারতীয় রেলকে (Indian Ralilway)। যার পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা।
ঘটনাটি ২০১৭ সালের জুন মাসের। শিবশংকর রামশ্রীঙ্গার শুক্লা দুরন্ত এক্সপ্রেসে এসি প্রথম শ্রেণির টিকিট কেটেছিলেন। মুম্বই থেকে যাত্রা শুরুর সময়েই দেখা যায় শুক্লার কামরার এসি কাজ করছে না। ট্রেন উপস্থিত টিকিট পরীক্ষককে সেকথা জানান শুক্লা ও অন্য যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করে দেখেন এসির গ্যাস পাইপ লিক করেছে, ফলে তা কাজ করছে না। দ্রুত তা সারানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। শুক্লা অভিযোগ করেন, এর মধ্যে সময় মতো ট্রেন ছাড়ে। মাঝপথে দু’টি স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে এসি সারানোর চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এদিকে বাইরে তখন ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এসি কামরা হওয়ায় জানলা খোলাও সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: দেশের চার রাজ্যের উপনির্বাচনে সাফল্য বিজেপির, মহারাষ্ট্র বাজিমাত উদ্ধবের]
শেষ পর্যন্ত তীব্র গরমে কষ্ট পেয়ে পুরো যাত্রাপথ কাটে শুক্লা ও অন্য যাত্রীদের। এলাহাবাদে নামেন শুক্লা। পরে মুম্বই ফিরে ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসের জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেন। ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের শুনানিতে ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন ওঠে। যদিও রেল দাবি করে, এসি প্রথম শ্রেণি ও তৃতীয় শ্রেণির কামরায় ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়ার আইনি এক্তিয়ার নেই কমিশনের। রেলের তরফে আরও বলা হয়, যাত্রী ২০ ঘণ্টার মধ্যে টিকিটের দাম ফেরত দেওয়ার আবেদন করেননি।
[আরও পড়ুন: ‘মা’ হওয়া বা না হওয়ার সিদ্ধান্ত নারীর একান্ত অধিকার, মন্তব্য হাই কোর্টের]
তবে ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের মুম্বই শাখা সাফ জানায়, ট্রেনের সমস্ত পরিষেবা কাজ করছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা রেলের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কমিশন যাত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে বলে, গোটা যাত্রাপথে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছেন শিবশংকর রামশ্রীঙ্গার শুক্লা ও তাঁর সহযাত্রীরা। অতএব, মানসিক যন্ত্রণার জন্য ৩৫ হাজার টাকা ও রেলের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর খরচ আরও ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ রেলকেই দিতে হবে।