সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় অর্থনীতির রক্তক্ষরণ অব্যাহত। করোনা আর যুদ্ধের জোড়া ফলায় বিদ্ধ ভারতীয় অর্থনীতি। লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। এর মাঝেই ভারতীয় টাকার দাম পড়ল। রেকর্ড পতন হল ভারতীয় টাকার দামে। মঙ্গলবার ভারতীয় মুদ্রায় এক মার্কিন ডলারের দাম দাঁড়াল ৭৭ টাকা ৭৩ পয়সা। যা এখনও পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
মার্চের শুরুতেই ৭৭ টাকায় পৌঁছে যায় ডলারের দাম। তার পর থেকে রক্তক্ষরণ অব্যাহত। শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় টাকার দর ছিল ৭৭ টাকা ৪৫ পয়সা। উল্লেখ্য, গত ৯ তারিখও টাকার দামের বড়সড় পতন ঘটেছিল। সেদিন ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দাম দাঁড়িয়েছিল ৭৭ টাকা ৪৬ পয়সা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চিনে নতুন করে লকডাউনের প্রভাব পড়েছে টাকার দামে।
[আরও পড়ুন: ‘ডোনেট মি এ গার্লফ্রেন্ড’, প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় ঘুরছেন যুবক! ব্যাপারটা কী?]
বিদেশি মুদ্রার কারবারিরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। তেল আমদানি করার জন্য ডলারের চাহিদা বাড়ছে। বিদেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম অস্থির হওয়ার জন্যই ভারতীয় টাকার উপর এতটা প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি, গত সপ্তাহে মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে আমেরিকার ফেডেরাল রিজার্ভ তাদের সুদের হার বাড়িয়েছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উদ্বৃত্ত অর্থ ভারতীয় বাজারে বিনিয়োগ করতে পারছেন না। উলটে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে ২ হাজার কোটিরও বেশি মূল্যে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এলআইসির শেয়ার বাজারে আসতেই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাজার।
দেশের মুদ্রাস্ফীতি সামাল দিতে দীর্ঘসময় পর রেপো রেট বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। রিজার্ভ ব্যাংক রেপো রেট বাড়ানোর পর থেকে দেশের অন্যান্য ব্যাংকগুলোও সুদ বাড়াচ্ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের হাতে অর্থের জোগান কমছে। উপরন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশীয় বিনিয়োগকারীরাও নতুন করে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না।