shono
Advertisement

‘মিশন শক্তি’তে মহাকাশে বর্জ্য বেড়েছে, ভারতের সাফল্যে গুরুতর অভিযোগ নাসার

২০০৭ সালে একই ধরনের পরীক্ষায় ৩০০০ টুকরো ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়েছিল চিন। The post ‘মিশন শক্তি’তে মহাকাশে বর্জ্য বেড়েছে, ভারতের সাফল্যে গুরুতর অভিযোগ নাসার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:06 PM Apr 02, 2019Updated: 09:30 AM May 21, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগে টুইট করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর গর্ব করে প্রচারিত হয়েছিল ‘মিশন শক্তি‘র সাফল্যের কথা। জানিয়েছিলেন আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর ভারতই সেই দেশ যে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। বিষয়টি খুব ভালভাবে না নিলেও সমালোচনা রাস্তায় হাঁটেনি আমেরিকা, রাশিয়া ও চিন। তবে এখন ভারতের সমালোচনায় সরব হল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা

Advertisement

এপ্রসঙ্গে নাসার প্রধান জিম ব্রিডেনস্টাইন অভিযোগ করেন, ভারতের ‘মিশন শক্তি’-র ফলে যে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস হয়েছে তার ৪০০ টুকরো ধ্বংসাবশেষ মহাকাশে ছড়িয়ে গেছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক ও ভয়াবহ। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

[আরও পড়ুন-মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা প্রসঙ্গে ফের সুর নরম চিনের]

‘মিশন শক্তি’র পাঁচদিন পর ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কর্মীদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন নাসার সর্বোচ্চ কর্তা। সেখানে তিনি বলেন, পৃথিবী থেকে মাত্র ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করার ফলেই সমস্যা বেশি হচ্ছে। কারণ, ওই অঞ্চলের মধ্যেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন এবং অন্য কৃত্রিম উপগ্রহগুলি রয়েছে। ভারতের কর্মকাণ্ডের ফলে মহাকাশে মোট ৪০০টি টুকরো ছড়িয়ে পড়েছে৷ যদিও এখনও পর্যন্ত ১০ সেন্টিমিটার আয়তনের মোট ৬০টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে। যা ওই এলাকায় থাকা মহাকাশ স্টেশন ও সেখানে থাকা মহাকাশচারীদের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক। গত ১০ দিনে মহাকাশ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে এই বর্জ্য বা ধ্বংসাবশেষগুলোর সংর্ঘষ হওয়ার সম্ভাবনাও ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাতাসের সংস্পর্শে ওই টুকরোগুলোর অস্তিত্ব বায়ুমণ্ডলে মিশে যাবে।

[আরও পড়ুন-খাশোগ্গির খুনিদের প্রশিক্ষণ আমেরিকায়, ফাঁস বিস্ফোরক তথ্য]

যদিও তাঁর আশঙ্কা, ভারতের পরীক্ষা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে অন্য দেশগুলোও যদি একই ঘটনা ঘটায় তাহলে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। এমনকী এই ধরনের পরীক্ষা মহাকাশ গবেষণায় বাধাও সৃষ্টি করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে চিন পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৫৩০ মাইল দূরে যে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস নিয়ে গবেষণামূলক পরীক্ষা করা হয়েছিল, তার ফলে তিন হাজারের কাছাকাছি বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়েছিল। মহাকাশে এখনও এই রকম ১০,০০০ টুকরো ধ্বংসাবশেষ আছে। এই সংখ্যা আরও বাড়লে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ বিপদ৷

The post ‘মিশন শক্তি’তে মহাকাশে বর্জ্য বেড়েছে, ভারতের সাফল্যে গুরুতর অভিযোগ নাসার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement