সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯। কেঁদেছিল গোটা ভারত। সেদিন মহাশূন্যের অতলে হারিয়ে গিয়েছিল ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন। তার পর পেরিয়েছে চার বছর। চন্দ্রযান ২-র সেই ব্যর্থতার অধ্যায় দ্রুত মুছে ফেলেছে ইসরো (ISRO)। সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান ৩। অথচ, এ সবটাই করতে হচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম পরিকাঠামো নিয়ে অনেক কম অর্থ নিয়ে। এমনকী ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেতনও পান নামমাত্র।
প্রাক্তন ইসরো প্রধান মাধবন নায়ার (Madhavan Nair) আক্ষেপ করে বলছিলেন, ভারতীয় বিজ্ঞানীরা বলেই এটা সম্ভব। ইসরোর বিজ্ঞানীরা উন্নত দেশের বিজ্ঞানীদের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ বেতনও পান না। ইসরোর বিজ্ঞানীরা কেউই কোটিপতি নন। তিনি বলছেন, বিজ্ঞানীরা কেউই বিরাট প্রাচুর্যের মধ্যে বাঁচে না। আসলে ইসরোর বিজ্ঞানীরা টাকার কথা ভাবে না। ওরা ভীষণ আবেগ দিয়ে কাজ করে।”
[আরও পড়ুন: হাতে চাঁদ পেল ভারত, ১৪০ কোটির স্বপ্ন নিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে ইসরোর ‘বিক্রম’]
সাফল্যের নিরিখে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে টেক্কা দিচ্ছে ইসরো। সাইকেলে করে রকেট বয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayan 3)। গত কয়েক দশকে ইসরোর সাফল্যের ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও আর্থিক দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এই চন্দ্রযান ৩ মিশনও হয়েছে নামমাত্র বাজেটে (৬১০ কোটি টাকা)। চন্দ্রযান ২ (৮৯০ কোটি টাকা) মিশনের চেয়েও যা কম। মাধবন নায়ার বলছেন, বিজ্ঞানীদের কম বেতনটাই ইসরোর অ্যাডভান্টেজ। কম পয়সায় কাজ করার অভ্যাসটাকেই কাজে লাগিয়েছে ইসরো (ISRO)।
[আরও পড়ুন: ‘স্বপ্নের ভারত গড়তে প্রতিটা ভোট দামী’, নির্বাচন কমিশনের ‘জাতীয় আইকন’ হয়েই বললেন শচীন]
তিনি বলছেন,”সামান্য টাকায় কাজ করাটা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের অভ্যেস। ওরা টাকাটা নিয়ে ভাবেই না। ওরা নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থাকে। আবেগের বশে পরিশ্রম করে। ঠিক সেকারণেই আজ এতটা সফল ইসরো। নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা।” তিনি বলছেন, আমরা অতীত থেকে যা যা শিখেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়েই এই মিশন। বলতে গেলে গত ৩০ বছর ধরে যা যা শিখেছি, সেটাই কাজে লেগেছে।