shono
Advertisement

Breaking News

বিপদের বন্ধু! প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ থেকে পাক তরুণীকে বের করলেন ভারতীয় তরুণ

কিয়েভের একটি বাঙ্কারে পাক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় অঙ্কিতের।
Posted: 05:22 PM Mar 06, 2022Updated: 06:47 PM Mar 06, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই রাষ্ট্রের শত্রুতা মানেই দুই দেশের মানুষের শত্রুতা, এমনটা নাও হতে পারে। তাছাড়া একইরকম বিপদে পড়লে শত্রু-মিত্র গুলিয়ে যায়! সমরেশ বসুর ‘আদাব’ গল্পে দাঙ্গায় পড়া মানুষগুলোর যেমনটা হয়েছিল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও (Ukraine-Russia War) তেমনই এক ঘটনা ঘটল। প্রাণ হাতে করে এক পাক তরুণীকে রোমানিয়া সীমান্ত পৌঁছে দিলেন এক ভারতীয় তরুণ। এরপরেই পাকিস্তানের বিমান ধরে ঘরে ফিরতে সক্ষম হন ওই তরুণী।

Advertisement

কিয়েভ ইনস্টিটিউটের ভারতীয় পড়ুয়া তরুণের নাম অঙ্কিত যাদব। সবে মাত্র দিল্লি ফিরেছেন তিনি। সংবাদ সংস্থাকে অঙ্কিত জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কিয়েভের একটি বাঙ্কারে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় পাক তরুণীর। সেখানে বাকি সকলেই ছিলেন ইউক্রেনের বাসিন্দা। অঙ্কিত বলেন, ”আমি আর ও ভাবছিলাম, এই অবস্থায় কীভাবে দেশে ফিরব। ভাষার কারণে ইউক্রেনীয়দের সঙ্গে কথা বলার উপায় ছিল না।” এরকম সময়ে পাক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয়।

[আরও পড়ুন: পুণেয় মেট্রো রেলপথের উদ্বোধন মোদির, নিজেই টিকিট কেটে চাপলেন ট্রেনে]

অঙ্কিত জানান, যুদ্ধ থামার মতো অবস্থা নেই দেখে তাঁরা ঠিক করেন যেভাবেই হোক কিয়েভ ছাড়বেন। দু’দিন বাঙ্কারে থাকার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ ছাড়ার চেষ্টা করেন। যদিও সেদিন কার্ফু থাকায় তাঁদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। অন্যদিকে বাইরে গোলাগুলি চলায় তাঁদের বাঙ্কার ছাড়ার অনুমতিও দেওয়া হচ্ছিল না। অঙ্কিত জানান, খাবার নিয়েও আমাদের সমস্যা হচ্ছিল, ইউক্রেনীয়রা যে আমিষ খাচ্ছিলেন তা আমরা খেতে পারছিলাম না। অঙ্কিত বলেন, “এর মধ্যে আমি ন্যাজাল স্প্রে কিনতে যাওয়ার জন্য বাঙ্কার ছাড়ার অনুমতি পাই। ওই দিন দু’জনের জন্য হস্টেল থেকে খাবার রান্না করে আনি। ২৭ তারিখ রাতে শুধুমাত্র ভাত খেয়ে কাটাতে হয় আমাদের।”

[আরও পড়ুন: ‘ঢাল’ জাতীয় নিরাপত্তা, একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ RTI খারিজ কেন্দ্রের]

কার্ফু উঠে যায় ২৮ তারিখে। ওই দিনই পাক দূতাবাস থেকে পাক তরুণীকে ফোন করা হয়। জানতে চাওয়া হয় তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের কেউ আছেন কিনা। অঙ্কিত জানান, রোমানিয়ার পাক দূতাবাসের আধিকারিক যখন জানতে পারেন তরুণীর সঙ্গে পাকিস্তানের কেউ নেই, তখন তরুণীকে সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অঙ্কিতকেই অনুরোধ করেন।

বিপদে পড়তে পারেন জেনেও পাক দূতাবাসের অনুরোধ রাখেন অঙ্কিত। এর পর পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে একটি ট্রেন ধরেন তাঁরা। ট্রেনে উঠে পাক দূতাবাসে ফোন করেন তরুণী। ট্রেন থেকে নামার পর পাক দূতাবাসই তরুণীকে রোমানিয়া সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। সেখান থেকে পাকিস্তানের বিমান ধরেন তরুণী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement