সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও বাঁধের জলের রঙ হল গেরুয়া-সাদা-সবুজ। ফুটে উঠেছে অশোক চক্র। কোথাও আবার জলপ্রপাতে ফুটে উঠেছে জাতীয় পতাকা। ভূপৃষ্ঠ থেকে কয়েক হাজার ফুট উঁচুতে তোলা হয়েছে জাতীয় পতাকা (National Flag)। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন আইটিবিপির জওয়ানরা। কোথাও আবার নৌসেনার জাহাজে মাঝ সমুদ্রে উড়েছে জাতীয় পতাকা। ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে সেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে এবার মহাকাশে উড়ল ভারতের জাতীয় পতাকা।
এবার ঘরে-ঘরে জাতীয় পতাকা ওড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুরু করেছিলেন ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচি। সোমবার ছিল এই প্রকল্পের চূড়ান্ত পর্যায়। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৃথিবীর বাইরে উড়ল তেরঙ্গা। মাটি থেকে এক লক্ষ ছ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ল জাতীয় পতাকা। এই কাজ সম্পন্ন করল ভারতে ছোটদের বিজ্ঞান গবেষণার বেসরকারি সংস্থা স্পেস কিডজ ইন্ডিয়া। সাদা একটি বেলুন জাতীয় পতাকাটিকে ধরে রেখেছিল।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের ক্ষতি করছে ভাই-ভাতিজাতন্ত্র, ফেরত দিতে হবে লুটের টাকা’, কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা একটি স্যাটেলাইট বানিয়েছিল। “স্পেস কিডজ ইন্ডিয়া” নামক একটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অধীনে ৭৫০ স্কুল পড়ুয়া স্টুডেন্টস স্যাটেলাইট তৈরি করে। ছোট রকেটে সেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। কথা ছিল, এই স্যাটেলাইট ঘুরবে পৃথিবীর অক্ষে। সেখান থেকে খুঁটিনাটি তথ্য পাঠাবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। যদিও যান্ত্রিক ত্রুটিতে তা আর সম্ভব হয়নি। তবে পৃথিবীর বাইরে পতাকা উত্তোলনের প্রচেষ্টা সফল হল এদিন।
[আরও পড়ুন: ‘গান্ধী-নেহরুকে অপমানই উদ্দেশ্য এদের’, স্বাধীনতা দিবসের বিবৃতিতে কেন্দ্রকে তোপ সোনিয়ার]
স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) আনন্দে মাতোয়ারা দেশ। লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট বক্তব্য রাখেন তিনি। এই প্রথমবার দেশে নির্মিত কামানে গান স্যালুট হয় লালকেল্লায়। নারীশক্তির কথা উল্লেখ করে বক্তব্য শুরু করেন মোদি। তিনি বলেন, “মহিলা-পুরুষ সমানাধিকার না পেলে অগ্রগতি সম্ভব নয়। একতা সম্ভব নয়। নারীকে অপমান করব না, এই সংকল্প নিতে হবে।” আত্মনির্ভর ভারতের উপরে জোর দেন মোদি। তিনি বলেন, “দিনে-দিনে ভারত উৎপাদন ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। কমছে আমদানি।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নয়া স্লোগানও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর গলায়। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্লোগান মিশিয়ে তৈরি করেন, “জয় জওয়ান, জয় কিষান, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান।”