সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে অভিযান শুরু করলেন হরমনপ্রীত কউররা। শুক্রবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ১৯.২ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১০৮ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয়। ১৪.১ ওভারে ভারতের মেয়েরা ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।
আজ শুক্রবার থেকে মেয়েদের এশিয়া কাপের বল গড়ায়। গত বারের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। এশিয়া কাপে ভারতীয় দলই কিন্তু দাপট দেখায় প্রতিবার। এবারের সংস্করণে কী হবে, তার উত্তর দেবে সময়। তবে ভারতের মহিলা দল কিন্তু বেশ দাপটের সঙ্গে জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল। পাক বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেন ভারতের শেফালি বর্মা এবং স্মৃতি মান্ধানা।
[আরও পড়ুন: ‘বর্ণবিদ্বেষী কটাক্ষ করতে নিষেধ করেছিল মেসি’, দি পলের মন্তব্যে নতুন বিতর্ক]
পাকিস্তানের ইনিংসের একেবারে শুরু থেকেই দাপট দেখায় ভারতীয় বোলাররা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় পাকিস্তান। ফলে পার্টনারশিপ কখনওই গড়ে ওঠেনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৯ রান, পাক ইনিংসে আঘাত হানেন পূজা। তারপরে ম্যাচ যত গড়ায়, ভারতের বোলাররা ততই বিষ ঢালতে থাকেন। পাক ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র চার জন ব্যাটার দুঅঙ্কের রানে পৌঁছন। বাকিরা এলেন আর গেলেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা তিনটি উইকেট নেন। রেণুকা, পূজা ও শ্রেয়াঙ্কা ২টি করে উইকেট নেন।
পাকিস্তানের রান তাড়া করতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার শেফালি বর্মা ও স্মৃতি মান্ধানা শুরুটা বেশ ভালো করেন। ১০৮ রানের পুঁজি হাতে নিয়ে ম্যাচ বের করতে হলে শুরু থেকে উইকেট তুলতে হত পাকিস্তানের বোলারদের। কিন্তু সেটা তাঁরা করতে পারেননি। উলটে ভারতীয় ব্যাটাররাই দাপট দেখান। প্রথম ৬ ওভারেই দুই ভারতীয় ওপেনার ৫৭ রান তুলে ফেলেন। বেশি মারমুখী ছিলেন শেফালি। তার পরে স্মৃতি মান্ধানা গিয়ার বদলান। পাক বোলারদের মাঠের যত্রতত্র ফেলেন। ভারতের দুই ওপেনার এতটাই দ্রুত গতিতে রান তোলেন যে ৯ ওভারের শেষে ভারতের রান হয় বিনা উইকেটে ৮৪। মান্ধানা আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ফেরেন। ভারতের রান তখন এক উইকেটে ৮৫। শেফালি আউট হন ব্যক্তিগত ৪০ রানে। শেষের দিকে দ্রুত উইকেট না হারালে ভারত আরও আগেই ম্যাচ জিতে নিত। শেফালি আউট হওয়ার কিছু পরেই আউট হন হেমলতা (১৪)। বাকি কাজটা সারেন হরমনপ্রীত ও জেমাইমা।