সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাড়ে চার বছর আগে ভারতের মোট ঋণ ছিল ৫৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। মোদি জমানার সাড়ে চার বছর পর তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮২ লক্ষ টাকা। কার্যক্ষেত্রে তা বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। না কোনও বিরোধী দল নয়, এই পরিসংখ্যান দিচ্ছে খোদ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
[‘অনেক হয়েছে আচ্ছে দিন’, মহাজোটের মঞ্চে মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা মমতার]
২০১৮-র সেপ্টেম্বরে অর্থমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঋণের পরিমাণ ৮২ লক্ষ, ০৩ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। ২০১৪ সালের জুন মাসে অর্থাৎ ইউপিএ জমানার শেষ কোয়ার্টারে এই ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা। সরকারের ঋণ এই পরিমাণ বৃদ্ধির মূল কারণ পাবলিক সেক্টরের ঋণ বৃদ্ধি। গত চার বছরে পাবলিক সেক্টরে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৫১.৭ শতাংশ। পাবলিক সেক্টরে ঋণের পরিমাণ ৪৮ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। আভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ গুণ। সরকারের এক সূত্র বলছে, সরকার চাইছে ঘাটতি মেটানোর জন্য সরাসরি খোলা বাজার থেকে টাকা তুলতে। সেজন্য উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। রাজস্ব ঘাটতি মেটানোর এটাই সর্বজনবিদিত পন্থা। তবে, এই ঘাটতিকে সরাসরি ঋণ বলতে রাজি নয় সরকার। শুধু ঋণ নয়, সরকারের চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে রাজস্ব ঘাটতি। কারণ, রাজস্ব ঘাটতিও প্রত্যাশার তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে গত এক বছরে। ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৭.১৭ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছরের মোট রাজস্ব ঘাটতির পূর্বাভাস ছিল ৬.২৪ লক্ষ কোটি টাকা। ২ মাস বাকি থাকতেই সেই লক্ষ্যমাত্র পেরিয়ে গিয়েছে সরকার।
[লোকসভার পর ফের ব্রিগেড, পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ঘোষণা মমতার]
নোট বাতিল, এবং জিএসটিতে এমনিতেই দেশের আর্থিক গতি ধাক্কা খেয়েছে। সেই ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে উঠছে অর্থনীতি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে এই ঘাটতির খবর নিঃসন্দেহে অর্থনীতির জন্য খারাপ খবর। একই সঙ্গে খারাপ খবর মোদি সরকারের জন্যও। কারণ, ভোটের আগে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে এই আর্থিক ঘাটতিকে হাতিয়ার করবে সেটা বলাই বাহুল্য।
The post মোদি জমানায় দেশের ঋণ বেড়েছে ৪৯ শতাংশ appeared first on Sangbad Pratidin.