সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি জমানায় দেশে গণতন্ত্রের বেহাল দশা নিয়ে বরাবর সরব বিরোধীরা। এমনকী বুদ্ধিজীবী তথা গণতন্ত্রপ্রেমীরাও মোদি জমানাকে বারবার স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করতে ছাড়েননি। কিন্তু আন্তর্জাতিক সংস্থার সমীক্ষা বলছে, দেশে গণতন্ত্রের দশা ততটাও বেহাল নয়। অন্তত গত বছরের তুলনায় খানিকটা হলেও উন্নতি হয়েছে ভারতের।
লন্ডনের ‘ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট’ সম্প্রতি ১৬৫টি দেশ এবং দুটি স্বশাসিত অঞ্চলে গণতন্ত্র নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সার্বিকভাবে গোটা বিশ্বেই গণতন্ত্রের সূচকের অবনতি হচ্ছে। ২০২২ থেকে ২০২৩-এ বিশ্বে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের’ সংখ্যা বাড়লেও গণতন্ত্র সূচকের গড়ে পতন হয়েছে। ২০২২-এ গড় ছিল ৫.২৯, ২০২৩-এ সেটি কমে ৫.২৩। একমাত্র পশ্চিম ইউরোপ ছাড়া গোটা বিশ্বেই গণতন্ত্রের মানের অবনতি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের চাইতেও বেশি! লোকসভা ভোটে বাংলার জন্য কত বাহিনী চাইল কমিশন?]
ওই সমীক্ষায় বিভিন্ন দেশকে ‘পূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’, ‘মিশ্র শাসন ব্যবস্থা’, ‘স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা’র মতো বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ভারত ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের তকমা পেয়েছে। তবে সার্বিকভাবে ভারতের সূচকে উন্নতি হয়েছে। ভারতের প্রাপ্ত নম্বর ৭.১৮, তালিকায় স্থান ৪১। রিপোর্ট বলছে, অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনা ভারতের গণতন্ত্রের মানোন্নয়ন করেছে।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে সভা পিছিয়ে দিল তৃণমূল, স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দুই মন্ত্রী]
তবে ভারতের উন্নতি হলেও গণতন্ত্রের সূচকে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। এই মুহূর্তে গণতন্ত্রের সূচকে পাকিস্তান ১১৮ নম্বরে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৩.২৫। যা গতবারের থেকে .৮৮ পয়েন্ট কম। এই তালিকায় পাকিস্তানকে মিশ্র শাসন ব্যবস্থা থেকে স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থায় অবনিত করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বৈরাচারী চিনের শাসনব্যবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। ২.১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় ১৪৮ নম্বরে জিনপিংয়ের দেশ। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন সরকার বদল না হওয়ায় বাংলাদেশের গনতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে, দু নম্বরে নিউজিল্যান্ড।