সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুদ্রাস্ফীতির মার। জিডিপি বৃদ্ধির হারে বড়সড় ধাক্কা খেল দেশ। কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতি ৬.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আগের ত্রৈমাসিকের অর্ধেকেরও কম। জুন ত্রৈমাসিকে দেশের সার্বিক বৃদ্ধির হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ।
২০২০ সালে করোনা (Coronavirus) অতিমারীর পর দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে তাল রেখে জিডিপির হারও নিম্নমুখী হয়। তবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের শেষে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রবণতা দেখা গিয়েছে। যার ফলে এই ত্রৈমাসিকেও জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার উপরের দিকেই থাকবে বলে মনে করছিলেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস বা এনএসও’র পেশ করা হিসাব বলছে, শেষ ত্রৈমাসিকে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩%। গতবছর এই ত্রৈমাসিকেই সার্বিকভাবে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। অর্থাৎ গতবছরের তুলনাতেও এবছর অর্থনীতি ধীরগতিতে এগোচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ২০ হাজারের বেশি অনুদানে বিরোধীদের টেক্কা বিজেপির, ধারেকাছে নেই কংগ্রেস-তৃণমূল]
কিছুদিন আগে দিল্লির রোজগার মেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বলেছিলেন, করোনার মতো মহামারী সামাল দিতে এত কম সময় যথেষ্ট নয়। কিন্তু তথ্য ঘাটলে দেখা যাবে, করোনার পরও একাধিক ত্রৈমাসিকে দেশের বৃদ্ধির হার এর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টার অর্থাৎ জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২০ শতাংশেরও বেশি। তারপরের ত্রৈমাসিকেও আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৪ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও ৭.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল অর্থনীতি। অর্থাৎ এতদিন বাদে জিডিপি বৃদ্ধি কমার নেপথ্যে কোনওভাবেই শুধু কোভিড অতিমারীকে দায়ী করা যেতে পারে না।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকেও শূর্পনখা বলেছিল মোদি’, ‘রাবণ’ বিতর্কের মাঝে পালটা দিলেন কংগ্রেস নেত্রী]
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ক্রমশ জিডিপি কমে যাওয়ার নেপথ্যের কারণও কেন্দ্রের সেই নীতিপঙ্গুত্ব। আসলে, মুদ্রাস্ফীতি আর মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কেন্দ্র সেভাবে কোনও স্পষ্ট নীতিই তৈরি করতে পারেনি। ফলে দেশের বৃদ্ধির হারও নিম্নমুখী।