সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে অতিমারীর (Pandemic) মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে পৃথিবীকে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতকেও মোকাবিলা করতে হয়েছে দুর্বিষহ কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতির। যার জেরে ভারতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক রক্তক্ষরণ অব্যাহত। লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। রেকর্ড পতন হয়েছে ভারতীয় টাকার দামে।
ভারতীয় মুদ্রার দাম দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ১৮ পয়সা। কিন্তু করোনার (Coronavirus) তিনটি ঢেউ সামলেও শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক বিপর্যয় রুখে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে দেশ। শুক্রবার মার্কিন কংগ্রেসে প্রকাশিত ইউএস ট্রেজারির একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করা হল।
[আরও পড়ুন: জেলে রাত কাটিয়ে গালাগাল ভুললেন রোদ্দুর রায়!]
ঠিক কী জানা যাচ্ছে ওই রিপোর্ট থেকে? মোদি সরকারের টিকাকরণ নীতির প্রশংসা করে ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যেই ভারতের ৪৪ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা পেয়ে গিয়েছেন। আর এটাও বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে অর্থনীতির বিপর্যয়কে সামলে নেওয়ার ক্ষেত্রে। গত বছরের এপ্রিল থেকে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে দেশে। কিন্তু পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত তা সামলে নেওয়ায় ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এবং শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালের দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হয়েছে ৮ শতাংশ। অতিমারীর আগের পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছিল দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে।
কিন্তু ২০২২ সালের শুরুতেই তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ফের হু হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। মূলত ওমিক্রনের দাপটেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু যেহেতু এবার মৃত্যুর হার অনেক কম ছিল, তাই শেষ পর্যন্ত তা অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে সেভাবে প্রভাবিত করতে পারেনি। আমেরিকার অনুমান, ২০২২ অর্থবর্ষের শেষে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়াবে ৬.৯ শতাংশে। অতিমারীর আগে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় যে জায়গায় ছিল, এটা তার থেকে অনেকটাই ভাল পরিসংখ্যান বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সব মিলিয়ে অতিমারী পরিস্থিতি সামলে যেভাবে ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা প্রশংসনীয় বলেই জানাচ্ছে মার্কিন রিপোর্ট।