সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech), সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute), জাইডাস ক্যাডিলার পর এবার ভারতের আরও একটি ভ্যাকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের (Human Trials) অনুমতি পেল। পরীক্ষাগারে সেফটি ট্রায়ালে সাফল্য পাওয়ার পর এবার মানব শরীরে নিজেদের সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) ট্রায়ালের অনুমতি পেল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পুণের (Pune) বায়োটেকনোলজি কোম্পানি জেনোভা বায়ো–ফার্মাসিউটিক্যালস। কেন্দ্রের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুণের সংস্থাটিকে হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া।
মোডার্না, ফাইজারের মতোই বার্তাবহ RNA (মেসেঞ্জার আরএনএ) সিকুয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে টিকাটি তৈরি করেছে তাঁরা। এতদিন ল্যাবরেটরিতে এই টিকার প্রি–ক্লিনিকাল পর্ব চলছিল। এই পর্বে পশুদের শরীরে ওই ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়ে সেটির সুরক্ষা ও কার্যকারিতা যাচাই করা হয়। দেখা হয়, এর ডোজে কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না। সেখানে সাফল্য পাওয়ার পরই ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটিতে রিপোর্ট জমা পড়ে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই এই ভ্যাকসিনটিকে ছাড়পত্র দিয়েছে DCGA। জানা গিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের দুটি দলে ভাগ করে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে। একটি দলে থাকবে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সিরা। অন্যদলে থাকবে ৫৫ থেকে ৭০ বছর বয়সিরা। দুই দলে ভ্যাকসিনের ডোজও আলাদা হবে।
[আরও পড়ুন: হাত বাড়িয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট, নতুন বছরের শুরুতেই করোনার টিকা প্রাপ্তির আশা ঢাকার]
তবে অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় এই ভ্যাকসিনটির কাজ করার প্রক্রিয়া ভিন্ন। অন্য ভ্যাকসিনের মতো এটি ইমিউন রেসপন্স তৈরি করে না। বদলে এমআরএনএ ভ্যাকসিনটি ভাইরাসের সিন্থেটিক RNA ব্যবহার করে শরীরে প্রোটিন তৈরি করে। এদিকে, ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতে জরুরুভিত্তিতে নিজের নিজের ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করতে অনুমতি চেয়েছে ভারত বায়োটেক এবং সেরাম ইনস্টিটিউট। এছাড়া ব্রিটেনের সংস্থা ফাইজারও এদেশে নিজেদের ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য অনুমতি চেয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ টিকাকরণের কাজে নেমে পড়েছে।