সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্কের মধ্যেই সুখবর। সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ২০.১ শতাংশ। সে তুলনায় এই হার কম হলেও গত বছর সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের তুলনায় এবছরের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জিডিপি (GDP) বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। গত বছর সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি বাড়ার বদলে ৭.৪ শতাংশ সংকুচিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনার (Coronavirus) প্রথম ধাক্কায় দেশের অর্থনীতি যেভাবে ধাক্কা খেয়েছিল, দ্বিতীয় ধাক্কায় সেই পরিমাণ ক্ষতি হয়নি। জুন থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধির হার তারই ইঙ্গিত। এর আগেও পরপর তিন ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ছিল পজিটিভ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ০.৫ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ১.৬ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টার অর্থাৎ জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২০ শতাংশেরও বেশি। তারপরই চলতি ত্রৈমাসিকে ৮.৪ শতাংশ বৃদ্ধির হার ধরে রাখল দেশের অর্থনীতি। যা অর্থনীতির জন্য ভাল খবর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৮১ শতাংশ কার্যকর ছিল কোভিশিল্ড, ওমিক্রন রুখতে সক্ষম ভারতের ভ্যাকসিন?]
যদিও অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, এই জিডিপির বৃদ্ধি গতবছরের সংকোচনের হারের ক্ষতিপূরণ মাত্র। করোনার ধাক্কায় গত অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (First Quarter) (এপ্রিল, ’২০ থেকে জুন, ’২০) ভারতের জিডিপি বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন রেকর্ড ২৪.৩৮ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়। সেই ধাক্কা গত ৩ ত্রৈমাসিক থেকেই ধীরে ধীরে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কেন্দ্রের দাবি, সেপ্টেম্বরের আর্থিক বৃদ্ধির হার প্রমাণ করছে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ভারত সঠিক দিকেই এগোচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পেনশনারদের জন্য এবার ‘ফেস রেকগনিশন’ প্রযুক্তি, কাজ করবে ‘জীবন প্রমাণ’ হিসেবে]
যদিও, দেশের আর্থিক এই বৃদ্ধি আগামী দিনে ধরে রাখা যাবে কিনা, সেটা পুরোটাই নির্ভর করছে মহামারীর আগামী দিনের রূপরেখার উপর। কারণ, করোনার নয়া স্ট্রেন ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে থাবা বসিয়েছে। সক্রামক এই স্ট্রেন যদি ভারতে পা রাখে, তাহলে ফের অর্থনীতি ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার আগে জিডিপি বৃদ্ধির এই হার কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে অর্থমন্ত্রককে।