সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়করে ছাড়ের পরিমাণ কি আবার বাড়বে? না কি এবার ব্যাংকে ঋণের বোঝা কমাবে কেন্দ্র। শুক্রবার দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেটের আগে এই প্রত্যাশাতেই বুক বাঁধছে আম আদমি। মধ্যবিত্ত থেকে কর্পোরেট জগতের কর্তা সকলেরই প্রত্যাশা, আয়করের ঊর্ধসীমা আরও বাড়িয়ে দেবে নির্মলা সীতারমণের বাজেট। ইন্দিরা গান্ধীর পর তিনিই দ্বিতীয় মহিলা যিনি কেন্দ্রের বাজেট পেশ করবেন। একদিকে যেমন তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন তেমনই আমজনতার প্রত্যাশা সফল করতে মধ্যবিত্তকে কর ছাড় দিয়ে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক থেকে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে, বাজেটের আগে সরকার যে আর্থিক সমীক্ষা প্রকাশ করে তাতে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ‘লড়াই চালিয়ে যাব’, মানহানি মামলায় জামিন পেয়ে মন্তব্য রাহুলের]
শুক্রবার দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সময়ের মহিলা অর্থমন্ত্রী হিসাবে নির্মলা সীতারমণ বাজেট পেশ করবেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে সংসদে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন নির্মলা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে দেশের বৃদ্ধির হার ৭% থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে সমীক্ষায়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালের বার্ষিক আর্থিক ঘাটতি ৫.৮%। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে তা ছিল ৬.৪%। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে ৫ ট্রিলিয়নের অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলার যে টার্গেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেখেছেন, তা পূরণ করতে হলে বৃদ্ধির হার ৮% হওয়া প্রয়োজন বলেও জানানো হয়েছে আর্থিক সমীক্ষায়।
[আরও পড়ুন: ‘নকল করে সংসদে ভাষণ দেননি মহুয়া’, তৃণমূল সাংসদের পাশে মার্কিন প্রতিবেদক]
শুক্রবার বাজেটের ইউএসপি কী হতে চলেছে তা নিয়েই এদিন সরকারি-বেসরকারি সব কর্মীরা জল্পনায় মেতেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেটে সাধারণ কর্মচারী ও কৃষকদের জন্য বেশ কিছু চমক রাখে মোদি সরকার। আয়করেও ছাড় ঘোষণা হয়েছিল। তেমনই এবারও লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর এই সরকার কর ছাড়ে নতুন কোনও ঘোষণা করে জনসাধারণের মন জয়ের চেষ্টা করবে বলে অনুমান। তেলের দাম কমানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়ন, মূলত এই তিনটি ক্ষেত্রের জন্য দীর্ঘ মেয়াদি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ যোজনা চালু করে ‘স্টার্টআপ’-দের সুযোগ দিলেও কর্মসংস্থানের তেমন কোনও উন্নতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তাই কর্মসংস্থান তৈরি করতে আসন্ন বাজেটে মোদি সরকার যে সমস্ত সংস্থা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবে এবং কর্মসংস্থান তৈরি করবে তাদের করের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে পারে। বাজেটে গুরুত্ব পাবে দেশের কর্মসংস্থান।
The post আগামী অর্থবর্ষে বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ, বাজেটের আগে আর্থিক সমীক্ষা মোদি সরকারের appeared first on Sangbad Pratidin.