সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত কি বিদেশনীতিতে বদল আনতে চাইছে? বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘে প্রথমবার রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভারতের ভোট দেওয়া নিয়ে এমনই প্রশ্নে সরগরম ওয়াকিবহাল মহল। আর সেই সময়ই বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল ভারত জেলেনস্কির ভাষণে সম্মতি দিয়েছে বটে। কিন্তু একে মোটেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট বলা যায় না।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ”আমি মনে করি ভারত মোটেই কারও বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি। একটা প্রস্তাব রাখা হয়েছিল জেলেনস্কিকে বলতে দেওয়ার বিষয়ে। আমরা তাতে সম্মতি জানিয়েছি। এই নিয়ে তৃতীয় বার রাষ্ট্রসংঘে উনি বক্তব্য রাখলেন ভারচুয়ালি। আমরা এটাকে সমর্থন জানিয়েছি। এখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসছে না।”
[আরও পড়ুন: ‘বলিউডে শুধু স্টার রয়েছে, দক্ষিণেই আসল সিনেমা তৈরি হয়’, বিস্ফোরক অনুপম খের]
২৪ আগস্ট ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলেনস্কিকে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি বক্তব্য পেশ করতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়টি নিয়েই ভোটাভুটি শুরু হয়। স্বভাবতই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় রাশিয়া। বরাবরের অবস্থান বজায় রেখে ভোটদান থেকে বিরত থাকে চিন। পনেরো সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ভারত-সহ তেরোটি দেশ। এরপরই শুরু হয় গুঞ্জন হয়। কেন প্রথমবার প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেল ভারত?
মনে করা হচ্ছিল, আগামী ডিসেম্বরেই নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হবে ভারতকে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়ার কারণে ভারতের উপরে বেশ ক্ষুব্ধ পশ্চিমি দেশগুলি। তাই হয়তো পশ্চিমি দেশগুলির সুনজরে থাকতেই নতুন কৌশল নিচ্ছে ভারত। কিন্তু অবশেষে এই গুঞ্জনকে উড়িয়ে উত্তর দিল ভারত।
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে রুশ আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ করে বার্তা দিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের উপরেই নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নিরাপত্তা। রাশিয়াকে যদি এখনই না আটকানো যায়, তাহলে অন্য দেশেও হত্যালীলা চালাবে ভ্লাদিমির পুতিনের সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসেই সেদেশে বড়সড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একটি রেল স্টেশনে রকেট হামলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২২ জনের।