সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গে ভোট প্রচারে এসে ফের সেই রাম মন্দির ও হিন্দু-মুসলিম অঙ্ক অমিত শাহের গলায়। বুধবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত 'হিন্দু বিরোধী' আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাঙ্ক হলেন অনুপ্রবেশকারীরা। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের ভয়েই অযোধ্যায় আসেননি তিনি। এই প্রসঙ্গেই সিএএ ইস্যু তুলে ধরে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানায় নেন শাহ।
শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়ে বুধবার কাঁথির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, "দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আমরা রামমন্দিরের গড়েছি। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় সমককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। মমতা দিদিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু উনি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।" তাঁর রাম মন্দিরে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে শাহ বলেন, "উনি যাননি কারণ উনি ওনার ভোটব্যাঙ্ককে ভয় পান। আপনারা ওনার ভোট ব্যাঙ্ক নন, জানেন কারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক? ওনার ভোট ব্যাঙ্ক হলেন অনুপ্রবেশকারীরা। ওদেরকে ভয় পান মমতা দিদি। কিন্তু আমাদের সে ভয় নেই।"
[আরও পড়ুন: নিউটাউনে ‘খুন’ বাংলাদেশের সাংসদ, ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার দেহ]
এ প্রসঙ্গেই শাহের গলায় উঠে আসে সিএএ (CAA) আইনের প্রসঙ্গ। শাহ বলেন, "আমরা যখন অমুসলিমদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ আইন এনেছি। আইন পাশ হতেই সেই আইনের বিরোধিতায় সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কিন্তু থামিনি। আমাদের শরণার্থী ভায়েদের জন্য নাগরিকত্বের রাস্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুলে দিয়েছেন।"
[আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে ‘রেমাল’, ষষ্ঠ দফা ভোটে ঝড় সামলাতে কী পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের?]
এছাড়াও বিরোধী শিবিরকে নিশানায় নিয়ে শাহ আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদি দেশকে সন্ত্রাস মুক্ত করার কাজ করেছেন। আগে মমতার সমর্থনে সোনিয়া-মনমোহনদের সরকার ছিল। তখন প্রতিদিন আলিয়া-মালিয়া-জামালিয়ারা ভারতে ঢুকে বোমা মেরে আবার পালিয়ে যেত। তাদের কিছু হত না। কিন্তু এখন মোদি সরকারের আমলে, হামলার পালটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়।"