সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাইনাস ২২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হিমাচলের (Himachal Pradesh) বরফ ঢাকা পাহাড়ে প্রি ওয়েডিং ফটোশুট। তাও কেবলমাত্র কালো রঙের গাউন পরে। এমন শখ পূরণ করতে গিয়ে বড়সড় মাশুল গুণতে হল ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারকে। কঠিন হাইপোথার্মিয়ার শিকার হলেন তিনি। শরীরের তাপমাত্রা আচমকা কমে যাওয়াকেই চিকিৎসা শাস্ত্রে হাইপোথার্মিয়া বলা হয়। অনেক সময় মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই আক্রান্তের মৃত্যু হওয়ারও ঘটনা ঘটেছে।
ব্যাপারটা কী? জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের স্পিতিতে গিয়ে প্রি ওয়েডিং ফটোশুট সারার পরিকল্পনা ছিল আরিয়া ভোরা নামে এক ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারের। যেমন ভাবা তেমন কাজ। হবু স্বামীর হাত ধরে স্পিতিতে শুরু করলেন প্রি ওয়েডিং ফটোশুট। বরফের মধ্যে কালো রঙের হাতকাটা গাউন পরে হাঁটার ভিডিও তুললেন। নানা রঙের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করলেন আরিয়া ও তাঁর হবু স্বামী।
[আরও পড়ুন: অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা! নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জবাব কেন্দ্রের]
তার পরেই বিপত্তি। প্রবল ঠাণ্ডায় শীতবস্ত্র না পরার কারণে ওই পাহাড়েই হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হন আরিয়া। চিকিৎসার ভাষায়, দীর্ঘক্ষণ ঠাণ্ডার মধ্যে থাকলে কমে যায় শরীরের তাপমাত্রা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকলে শরীরের তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট, যেটা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি কম। এরকম পরিস্থিতিতে থাকলে এক ঘণ্টারও কম সময়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
তবে চরম পরিণতি হয়নি আরিয়ার। হাইপোথার্মিয়া হওয়ার আঁচ পেয়েই ঘিরে ধরেন বন্ধুরা সকলে। শীতবস্ত্র পরিয়ে তাঁর শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে চেষ্টা করেন। ধীরে ধীরে সেরে ওঠেন জনপ্রিয় ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার। তার পরে নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। কেমন ছিল সেই মুহূর্তগুলো? আরিয়ার কথায়, “মনে হচ্ছিল জমে গিয়ে মরে যাব। কেউ যেন আমার হাতে অ্যাসিড ঢেলে দিচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত সব কিছু পরিকল্পনামাফিক হয়েছে বলে আমি খুব খুশি।” আরিয়ার স্বামী রঞ্জিত শ্রীনিবাস বলছেন, বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এত পরিশ্রম করেছেন আরিয়া, সেজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। প্রি ওয়েডিং ফোটোশুটের ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করেছেন তাঁরা।