গোবিন্দ রায়: শিরদাঁড়া ছুঁয়েছে একটা বুলেট। অন্যটি ফুঁড়েছে তাঁর বাম হাত। রাজ্য সরকারের সার্টিফিকেট অনুযায়ী, পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় (Pulwama terror attack) আক্রান্ত জওয়ান নবদ্বীপের (Nabadwip) নিগমপ্রিয় চক্রবর্তী ৮০ শতাংশ বিশেষ ভাবে সক্ষম। কিন্তু তাঁর দাবি, এত কিছুর পরেও তাঁকে কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিগমপ্রিয়।
নিগমপ্রিয়র অভিযোগ, গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ডের জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়নি। একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। কোনও রকম সুযোগ সুবিধাই পাচ্ছেন না তিনি। এমনকী, চিকিৎসার জন্য যাতায়াত খরচও বহন করতে হয় নিজেকে। এই পরিস্থিতিতে আইনজীবী সুদীপ্ত পান্ডা বলেন, “তিন মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দেখতে হবে তিনি জওয়ান হিসেবে কাজ করতে পারবেন নাকি অফিসিয়াল ডিউটি। ততদিন পর্যন্ত তাঁকে বেতন দিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ভুয়ো সিমে কথা, মাছ ধরা থেকে লং ড্রাইভ! পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের জল কতদূর?]
এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে নিগমপ্রিয়র চিকিৎসা করাবেন। পাশাপাশি তাঁকে গ্যালেন্ট্রি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ন্যায়বিচার ও বৈধতার মধ্যে না গিয়েই পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য়, ২০১৬ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার মুখে পড়ে সিআরপিএফের একটি দল। সেই দলেই ছিলেন নবদ্বীপের নিগমপ্রিয় চক্রবর্তী। শুটিং অনুশীলন সেরে ক্যাম্পে ফিরছিল দলটি। ৩টি গাড়ি ও একটি বাসে ছিলেন তাঁরা। আচমকাই তাঁদের উপরে চড়াও হয় জঙ্গিরা। হামলায় শহিদ হন ৫ জন জওয়ান। গুরুতর আহত হন নিগমপ্রিয়। শিরদাঁড়া ও বাম হাত জখম হয়। যদিও ওই গুলির লড়াই চলাকালীন, বেস কয়েকজন জঙ্গিকে ঘায়েল করেছিলেন তিনি। মূলত তাঁর জন্য়ই বাসটিতে উঠতে পারেনি জঙ্গিরা। এবার আদালতের দ্বারস্থ সেই জওয়ান।