সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: একুশের বিধানসভা ভোটে (WB Assembly Election) শিলিগুড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি মূলত কলকাতার বাসিন্দা। তাই প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষিত হতেই শুরু হয়েছিল অসন্তোষ। এবার সেই অসন্তোষ থেকে তৃণমূল ছেড়ে দিলেন দুই নেতানেত্রী। ভোটের ঠিক আগে দীপক শীল ও জ্যোৎস্না আগরওয়াল দলত্যাগ করায় শিলিগুড়িতে তৃণমূলে (TMC) বড় ভাঙন ধরল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ওমপ্রকাশ মিশ্রের সমর্থনে প্রচার করে তৃণমূলকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) জেতানো সম্ভব নয়। এমনই মনে করছেন জ্যোৎস্নাদেবী এবং দীপকবাবু। ১৯৯৮ সাল অর্থাৎ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে রয়েছেন নেতা দীপক শীল এবং নেত্রী জ্যোৎস্না আগরওয়াল। প্রথমজন জেলা কমিটি সদস্য ছাড়া দলের অন্য কোনও পদে নেই। কিন্তু আড়ালে থেকে লড়াই এবং দলকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ায় তাঁর অবদান খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ। অন্যজন, জ্যোৎস্নাদেবী পেশায় আইনজীবী এবং শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় খুবই পরিচিত, কাছের মানুষও। তাঁদের মতে, ২০১১ সালে রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো স্থানীয় নেতাকে প্রার্থী করলেও তাঁকে জেতানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া যেত।
[আরও পড়ুন: ‘প্রার্থী হতে চাই না’, বিজেপির তালিকা ঘোষণা হতেই অস্বস্তি বাড়ালেন রন্তিদেব]
রবিবার তাঁরা সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, ”বহিরাগত প্রার্থী ওমপ্রকাশ। তাঁকে জেতানো কঠিন। স্থানীয় প্রার্থীকে জিতিয়েছিলাম সেবার। এর আগেও বাইচুং ভুটিয়া, বাইরের প্রার্থী ছিলেন। জেতানো যায়নি। এভাবেই আমাদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলছে বারবার। আবার প্রার্থী না জিতলে দল জবাবদিহিও চাইছে। এবার ওমপ্রকাশকে জেতানোও কঠিন, আমরা এই দায় নিতে চাই না।” এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, ”ওঁদের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। কথা বলব।” এখন দলত্যাগ করে কোন শিবিরে যাবেন জ্যোৎস্নাদেবী এবং দীপকবাবু? সম্ভাবনা দুটি। নান্টু পাল তৃণমূলের প্রার্থী হতে না পেরে দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই দু’জন কি তাঁর সঙ্গেই থাকবেন নাকি বিজেপিতে নাম লেখাবেন? সময় এর উত্তর দেবে।