সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে বাঙালি আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীর অপসারণ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Anand Bose) কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে একজন বাঙালি মহিলা আইএএসকে (IAS) রাজভবন থেকে অপসারণ করা হয়েছে, সেটা অপমানজনক।
সূত্রের খবর, ভিনরাজ্যের আইএএসদের রাজ্যপালের উপদেষ্টা পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আপত্তি জানিয়েছিলেন নন্দিনী চক্রবর্তী (CV Ananda Bose)। এবং সেটাই রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর মতানৈক্যের প্রধান কারণ। যার জেরেই রাজ্যের কাছে নন্দিনীকে অপসারণ করার আবেদন জানান রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “যেভাবে একজন বাঙালি মহিলা আইএএসকে (IAS) সরানো হল, এই অপমানটা রাজ্যপাল না করলেও পারতেন। যে খবরগুলো আসছিল যে উনি বিভিন্ন উপদেষ্টা আনছেন, এবং সেটা হয়তো নন্দিনী অনুমোদন করছেন না, পদ্ধতিগত কিছু প্রশ্ন তুলেছেন, সেজন্যই তাঁকে সরানো হল। এটা রাজ্যপালের অন্যায্য দাবি ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সৌজন্য দেখিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: আপাতত বেতন ফেরত দিতে হবে না গ্রুপ ডি-র চাকরিহারাদের, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের]
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শুরু থেকেই বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলার প্রতি তাঁর আলাদা টান রয়েছে। কিন্তু কুণাল এদিন ঘুরিয়ে বাংলার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন। নন্দিনীর অপসারণ প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বক্তব্য, শোনা যাচ্ছে উনি অবসরপ্রাপ্ত প্রচুর আইএএস আনছেন উপদেষ্টা হিসাবে। কিন্তু কোনও বাঙালি আইএএসের নাম তো শোনা যাচ্ছে না। বাংলার কোনও প্রাক্তন আইএএসের নাম বা কোনও বাঙালি আইএএস জারা ভিনরাজ্যে পোস্টেড আছে, তাদের নামও তো শোনা যাচ্ছে না। এটা তো অনেকটা ২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের আসা-যাওয়ার মতো লাগছে।
[আরও পড়ুন: ‘অনেকদিন হয়েছে!’, সিবিআইয়ের তদন্তের গতিতে ক্ষুব্ধ বিচারক, ফের জেল হেফাজতে পার্থ]
শোনা যাচ্ছে, নন্দিনীকে অপসারণ করেই থামেননি রাজ্যপাল। এবার নাকি তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও চাইছেন। যদিও এ বিষয়ে কুণালবাবু কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।