সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীকৃষ্ণের জীবনী পাঠ ও তাঁর দর্শন মানব ও বিশ্ব সমাজকে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করার শিক্ষা দেয়। তাঁর প্রেমের বাণী সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শুধু দুষ্টের দমনই নয়, এক শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি বছর জন্মাষ্টমী জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মাঝে নিয়ে আসে এক শুভ আনন্দময় বার্তা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই দিন উপোসী থাকলে জন্মকৃত পাপ বিনষ্ট হয়। আর তাই এ দিনটিতে উপবাস করে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করেন অনেকেই।
[এসব পৌরাণিক কাহিনি মেনেই আজও পালিত হয় রাখিবন্ধন উৎসব]
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। কথিত রয়েছে, দাপর যুগের শেষদিকে মথুরা নগরীতে অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের কোলে এই মহাপূণ্য তিথিতে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। কংস মামার হাত থেকে মধ্যরাতে নিজের দুধের শিশুকে বন্ধু নন্দর কাছে রেখে দিয়ে আসেন বাবা বাসুদেব৷ এই উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে পড়ে। সেই অনুযায়ী চলতি বছর ২ সেপ্টেম্বর গোটা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে জন্মাষ্টমী৷ ২০১৮-এর জন্মাষ্টমী উৎসব বিশেষ গুরত্বপূর্ণ বলে দাবি জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের৷ তাঁরা জানান, দীর্ঘ ৬ দশক পরে এমন এক যোগ এদিন পড়ছে৷ জ্যোতিষ শাস্ত্রবিদদের ধারণা, এদিন যথাযথ পূজা ও পালনের মাধ্যমে পূর্ণ হতে পারে যাবতীয় মনস্কামনা। তাই যথাবিহিত উপবাস ও ব্রত উদযাপনের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
[মুসলিম হলেও হজ যাত্রার অনুমতি পান না এঁরা]
পুরাণ মতে, ছোট্ট দুধের শিশু গোপাল ধীরে ধীরে যশোদা মায়ের কাছে বেড়ে উঠতে থাকে৷ অত্যন্ত দুরন্ত শিশু গোপাল দিনরাত গোটা এলাকা মাতিয়ে রাখত৷ চুরি করে বাড়ির ক্ষীর, মোয়া খেয়ে নিত সে৷ সেই রীতি মেনেই জন্মাষ্টমীতে নতুন পোষাকে সাজিয়ে তোলা হয় কৃষ্ণ ও রাধাকে৷ নানারকমের মিষ্টি ও ক্ষীরে সাজিয়ে দেওয়া হয় নৈবেদ্য৷ এছাড়া নানারকমের শুকনো খাবারও দেওয়া হয়৷ অনেকেই আবার ভগবানের সামনে সাজিয়ে দেন ৫৬ রকমের উপাচার৷ আলোতে আলোতে গোটা বাড়ি সাজিয়ে তোলেন ভক্তেরা৷ তামিলনাড়ুতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাড়িতে আল্পনা দেওয়ারও রীতি রয়েছে৷
The post এই পৌরাণিক রীতিগুলি মেনেই আজও ঘরে ঘরে পালিত হয় জন্মাষ্টমী appeared first on Sangbad Pratidin.