সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের শেষে স্বাভাবিক হতে পারে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা (International Flight Operations)। উঠে যেতে পারে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা। সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানালেন বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজীব বনসল (Rajiv Bansal)।
গতবছর ২৩ মার্চ থেকে করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনও চলছে। তবে যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এখন বেশ কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক এয়ার বাবল চুক্তির মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক বিমান পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২৭টি দেশের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কেনিয়া, ভুটান , ফ্রান্স, বাংলাদেশ-সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ।
[আরও পড়ুন: এবার কি তৃণমূলের পথে ‘বিক্ষুব্ধ’ BJP সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী? মমতার সঙ্গে সাক্ষাতে বাড়ল জল্পনা]
এয়ার বাবল চুক্তি হল করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুই দেশের আন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহনের এক সাময়িক বোঝাপড়া। এই চুক্তির আওতায় নিয়মিত বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে কিছু বিমান চালু করা হয়। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশের উড়ান সংস্থাই অংশগ্রহণের অধিকার পায়। এক্ষেত্রে মাঝে কোনও ট্রানজিট থাকে না। সরাসরি একটি স্থান থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায় বিমানগুলি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তহেই বেসরকারি বিমান পরিষেবা মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) জানান, “কোভিডের উপর নজর রেখে আন্তর্জাতিক পরিষেবা স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া চলছে।” তিনি এও বলেন, “নতুন করে বেশ কিছু দেশে করোনা সক্রমণ বাড়ছে। সবটা বুঝে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে উড়ান স্বাভাবিক করার পক্ষে কেন্দ্র।”
[আরও পড়ুন: তিন বছর ধরে লড়াই, মৃত্যুর পর ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকল পিএফের টাকা!]
প্রসঙ্গত, কোভিডের কারণে অন্তর্দেশীয় উড়ানও (Domestic Flight) স্থগিত হয়েছিল। সংক্রমণ কিছুটা কমার পর পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পরিষেবা চালু হয়। তবে যাত্রীদের টিকার দু’টি ডোজ অথবা আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। গত মার্চ মাসে পূর্ণ সংখ্যক যাত্রী নিয়ে উড়ানের অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিড বিধি একই থাকে। যদিও বিমান সংস্থাগুলির জন্য উড়ানের সংখ্যা বেধে দেয় কেন্দ্র।