স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি : অন্নদাতারা আন্দোলনে (Farmer Protest) ঢিলেমি দিতেই কিছুটা সুর নরম করল প্রশাসন। আগেরদিন খুলেছিল দিল্লি (Delhi) এবং হরিয়ানার বিভিন্ন সীমানা। দু’ সপ্তাহ বাদে রবিবার হরিয়ানার (Haryana) সাত জেলায় চালু হল ইন্টারনেট পরিষেবা।
১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কৈথাল, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ ও সিরসা জেলায় বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট। ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট, ভয়েস কল, এসএমএস চালু থাকলেও বন্ধ ছিল বাল্ক এসএমএস। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত করায় রবিবার থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং বাল্ক এসএমএস-এর নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে পুজোয় বাধা নেই, মসজিদ কর্তৃপক্ষের আবেদন খারিজ এলাহাবাদ হাই কোর্টে]
দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত করা হলেও শম্ভু এবং খানৌড়ি সীমানায় আন্দোলন বন্ধ হয়নি। রবিবার দিনভর দুই সীমানায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-র প্রকল্পের উপর সম্মেলন করেছেন কৃষকরা। যেখান থেকে কেন্দ্রের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে কৃষিক্ষেত্রকে ডব্লিউটিও থেকে বাইরে রাখতে। সোমবার গোটা দেশজুড়ে এই দাবিতে আন্দোলন হবে। দুই সীমানায় ২০ ফুটের বেশি উঁচু কুশপুতুল দাহ করা হবে। পরের দু’দিন বিভিন্ন কৃষক সংগঠন নিজেদের মধ্যে আরও বেশ কয়েকদফায় আলোচনা করে বৃহস্পতিবার নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কেন বিভিন্ন সীমানায় এত প্রহরা? আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত কৃষক নেতারা।
[আরও পড়ুন: কার নির্দেশে সন্দেশখালির আন্দোলন? ‘ম্যাডাম’-এর নাম বলে রহস্য বাড়ালেন মহিলা]
লাগাতার আন্দোলনে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের সুরে কথা বলা শুরু করল আরএসএস-এর কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিসান সংঘ। রাজস্থানের অজমেড়ে ভারতীয় কিষান সংঘের পদাধিকারীদের বৈঠকের পরে মোদি সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির একাংশের নিন্দা করা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, কৃষকদের নাম করে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার এই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহিনী মোহন মিশ্র বলেছেন, “সরকার যে মনোভাব দেখাচ্ছে, তা নিন্দার যোগ্য। এর ফলে হিংসা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” তাদের সাফ কথা, আমরা আলোচনা করতে চায়। আমরা নিয়মের মধ্যে থাকতে চায়, সেটাকে দুর্বলতা ভাবার কোনও কারণ নেই।