সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচদিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করা হল মণিপুরে (Manipur)। শনিবার রাতেই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। গতকালই বিষ্ণুপুর জেলায় একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তিন-চার জন ব্যক্তি। এরপর থেকেই এলাকায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আর তারপরই এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।
নির্দেশ এও বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণাভাষণ ছড়িয়ে জনতাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই সাবধানতা অবলম্বন করতেই এমন পদক্ষেপ। কিন্তু কেন এই উত্তেজনা? আসলে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরপূর্বের এই রাজ্য গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্র রাজনীতি নিয়ে উত্তাল। রাজ্যের শক্তিশালী উপজাতি পড়ুয়া সংগঠন ATSUM দাবি জানিয়েছে, বিধানসভায় মণিপুর স্বায়ত্তশাসন জেলা পরিষদ বিল, ২০২১-টি পেশ করতে হবে। গত বছরই বিলটির খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। এই বিলে রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন শুরুর কথা বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুধু জয় নয়, উপরাষ্ট্রপতি ভোটে ব্যবধানেও রেকর্ড ধনকড়ের, নেপথ্যের কারণ নিয়ে চিন্তায় বিরোধীরা]
যদিও গত মঙ্গলবারই মণিপুর (পাহাড়ি অঞ্চল) জেলা পরিষদ ষষ্ঠ ও সপ্তম সংশোধনী বিল পেশ করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, ওই সংশোধনী বিলগুলিতে তাদের দাবির কথা বলা নেই। আর তারপর থেকে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে।
গত শনিবারই একটি প্রতিবাদ মিছিলকে পুলিশ আটকালে ৩০ জনেরও বেশি আদিবাসী পড়ুয়া আহত হন রাজধানী ইম্ফলে। পাঁচজন ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করে ১৫ দিনের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে। ওই নেতাদের মুক্তির দাবিতে এটিএসইউএম হাইওয়েতে অর্থনৈতিক অবরোধ শুরু করেছে।