অভিরূপ দাস: ফের ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (R G Kar Medical College)। সিনিয়র হাউজ স্টাফের পর শনিবার দুপুর থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করলেন মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নরা। প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। যদিও এই ছাত্রবিক্ষোভকে বহিরাগতদের আন্দোলন বলে দাবি করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে ফের উত্তপ্ত এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
স্বচ্ছ কাউন্সিল, নিরপেক্ষ হস্টেল কাউন্সিল-সহ একাধিক দাবিতে গত আড়াই মাস ধরে আন্দোলন চলছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, বহুদিন ধরে লেডিজ কমনরুম হিসেবে ব্যবহৃত অংশ থেকে পড়ুয়াদের না জানিয়েই তাঁদের ব্যবহৃত সামগ্রী ফেলে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একাধিকবার প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্রে বের হয়নি বলেই খবর। উলটে পড়ুয়াদের বাড়িতে চিঠি পাঠায় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, “আপনাদের সন্তানেরা আরজি করে গর্হিত কাজ করছে।” ৩ অক্টোবর থেকে অনশন শুরু করেন পড়ুয়ারা। এরপরই অনশনকারীদের বাড়িতেও পুলিশ চড়াও হয় বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: ‘অনেকেই অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছেন’, বিজেপিতে আরও বড় ভাঙনের ইঙ্গিত ফিরহাদ হাকিমের]
এর পরই শনিবার প্রিন্সিপ্যালের ঘরে ব্যাখ্যা চাইতে যান আন্দোলনকারীরা। সেখানে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা একটি ভিডিও ভাইরাল করেছেন তাতে দেখা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের রীতিমতো হুমকি দিচ্ছেন প্রিন্সিপ্যাল। এর পরই কর্মবিরতির ডাক দেন ইন্টার্নরা। সিনিয়র হাউজ স্টাফরা আগেই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন। এবার তাতে যোগ দিলেন ইন্টার্নরা।
যদিও প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের দাবি, সকল পড়ুয়া আন্দোলন করছে না। কিছু নকশালপন্থী বহিরাগতরা বিক্ষোভ করছে। আমার আলোচনায় অসুবিধা নেই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সকলের সঙ্গে আলোচনা করব না। ওঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করব। কিন্তু কোনও এক প্রতিনিধিকে আলোচনায় পাঠাতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, “জেনারেল বডির বৈঠক ছাড়া মানব না। কোনও একজন প্রতিনিধিকে আলোচনায় পাঠাব না। যে প্রিন্সিপাল পড়ুয়াদের বাড়িতে পুলিশ পাঠায়, তিনি তো প্রতিনিধিদের ভুল বুঝিয়ে, চাপ দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারেন।”