সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যবাসীর পাশে দাঁড়াতে সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পে জোয়ার এনেছে রাজ্য় সরকার। কিন্তু নতুন শিল্প, কর্মসংস্থান তৈরিতে কিছুটা খামতি রয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেই খামতি পূরণ করতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্যের শাসকদল। এবার শিল্পায়নের জন্য আইন করে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের কথাও শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বুধবার টিটাগড়ের ওয়াগন কারখানার ২৫ বছরের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হিন্দুস্তান মোটরসের পরিত্যক্ত ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলায় প্রথমবার মেট্রোর কোচ তৈরি হচ্ছে। ইতালির সংস্থা তৈরি করবে এই কোচ। কারখানায় তৈরি হবে প্যাসেঞ্জার কোচও। এদিন ভারচুয়ালি সেই কারখানার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁর গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। বললেন, “সামাজিক প্রকল্প আমরা অনেক করেছি। কিন্তু আমরা যেটা করতে পারিনি তা হল আরও নতুন করে অনেক-অনেক শিল্প এবং কর্মসংস্থান।”
[আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: অস্থায়ী লকআপে নেই শৌচালয়, সামান্য খাওয়া-দাওয়া করেই দিন কাটালেন পার্থ]
তবে দেশে যখন ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, তখন এ রাজ্যে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে বলে দাবি করলেন মমতা। শুধু তাই নয়, রাজ্যে ২০০ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, ৫২১টি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা। হুগলি এলাকাতেও প্রচুর শিল্প তৈরি হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
হিন্দুস্তান মোটরসের প্রায় ৭০০ একর জমি পড়ে রয়েছে। বাম আমলে তাদের এই জমি দেওয়া হয়েছিল। জমি পড়ে থাকা নিয়েও আক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, বাম আমলে ওদের (হিন্দুস্তান মোটরস) ৭০০ একর জমি দিয়েছিল। কিন্তু তারা চেন্নাইতে বিনিয়োগ করেছে। ফলে জমি পড়ে রয়েছে।” এবার এই জমি আইনি প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণ করা হবে বলেও জানান মমতা। তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বলেন, “এই জমির ইতিহাস দেখে নাও। আইন করে রাজ্য এই জমি নেবে। দরকারে আদালতে যাবে রাজ্য। আইনি লড়াই করবে। কোর্টকে বলবে, বেকারদের চাকরি দিতে চাই। তাই এই জমিতে শিল্প হবে।” রাজ্যে আনাচে কানাচে এমন অনেক জমি রয়েছে, সেখানেও শিল্প তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।