স্টাফ রিপোর্টার: ফের মোহনবাগান গ্যালারিতে বসে মদ্যপান। এবার আর সাধারণ গ্যালারিতে নয়, ক্লাব সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট গ্যালারিতেই ঘটল মদ্যপানের ঘটনা৷ অতীতে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করায় একজনের মেম্বারশিপ কেড়ে নিয়েছিলেন ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি স্যার বীরেন মুখোপাধ্যায়৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, মোহনবাগান গ্যালারিতে বসে বাজে কথা বলা যাবে না৷ আর এখন তো ম্যাচ চালকালীন মুখের কোনও লাগাম থাকে না মোহনবাগান সদস্য-সমর্থকদের৷ সেই তালিকায় নয়া গ্যালারিতে মদের আসর! ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদের একাংশ৷
[ কেরলের পাশে ইস্টবেঙ্গল, সমর্থকদের থেকে চাঁদা তুললেন জাস্টিনরা]
কলকাতা লিগে মোহনবাগানের প্রতিটি ম্যাচে রীতিমতো উপচে পড়ছে গ্যালারি৷ আর ভিড়েঠাসা গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখার ফাঁকে মদ্যপান করছেন কতিপয় মোহনবাগান সমর্থকরা৷ আগের ম্যাচগুলিতে সাধারণ গ্যালারিতে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে৷ আর এবার মদ্যপানের ঘটনা ঘটল সদস্য গ্যালারিতে! রবিবার নিজেদের মাঠে টালিগঞ্জে অগ্রগামীর বিরুদ্ধে নেমেছিল মোহনবাগান৷ ম্যাচ তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছে, দেখা যায়, মোহনবাগান মাঠের সদস্য গ্যালারিতে বসে প্রকাশ্যে মদ্যপান করছেন দু’জন৷ পাশে বসা সমর্থকরা দেখতে পেয়ে প্রথমে হইচই বাধিয়ে দেন। দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। অভিযুক্তদের মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলে পুলিশ৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, মদ্যপান করতে করতে মাঠে বসে খেলা দেখা যাবে না৷ এদিকে আবার মাঠ থেকে বেরনোর সময়ে ওই দু’জনকে হেনস্তা করেন কয়েকজন সদস্য৷ এখানেই শেষ নয়৷ জানা যায়, অভিযুক্ত ওই দু’জন মোহনবাগান ক্লাবের সদস্যই নন৷ অন্যের মেম্বারশিপ কার্ড নিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন তাঁরা৷ ক্লাবের নিয়মে অন্য কারও মেম্বারশিপে কার্ড নিয়ে মাঠে ঢোকা নিষিদ্ধ৷ তাহলে সদস্য না হয়েও কীভাবে মোহনবাগানের মেম্বারশিপ কার্ড পেলেন ওই দুই বহিরাগত? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহনবাগানের এক প্রভাবশালী কর্তার আক্ষেপ, ‘মোহনবাগান মাঠের সদস্য গ্যালারিতে বসে কেউ মদ খাচ্ছে, ভাবাই যায় না। তারপর দেখা গেল যারা সদস্য গ্যলারিতে ঢুকে ছিল তারা সদস্যই নয়। তাহলে এরা কার্ড পেল কোথা থেকে? নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। দেখা হোক, কারা ক্লাবের সম্মান ভূলুন্ঠিত করছে। কারা এমন নক্ক্যারজনক ঘটনার আসল নায়ক৷’
ক্লাব সূত্রে খবর, মোহনবাগান ক্লাবের মেম্বারশিপ পুর্ননবীকরণের শেষদিন দিল ২১ জুলাই৷ কিন্তু, ভোটের চক্করে অনেকেই সময়মতো সদস্যপদ পুর্ননবীকরণ করতে পারেননি৷ ফলে প্রকৃত সদস্যরা যেমন খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি আবার মোহনবাগান মাঠে ঢুকে পড়ছে বহিরাগতরা৷ এখন প্রশ্ন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটছে? এক্ষেত্রে পুলিশেরও আরও সক্রিয় হওয়া উচিত বলে মনে করছেন কেউ কেউ৷ তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ যদি ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করত, তাহলে অন্যরা এমন কাজ করার আগে দু’বার ভাবত৷ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়নি ঠিকই৷ তবে যে ক্লাবের সদস্য নন, তা মোহনবাগান কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বস্তুত, রবিবার আরও বেশ কয়েকজন দর্শক কার্ড ছাড়াই সদস্য গ্যালারিতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়৷ কিন্তু, গ্যালারিতে বসে মদ্যপান? সর্ষের ভিতর ভূত নেই তো? প্রশ্ন এখন সেটাই।
[ ডার্বির আগেই নামী বিদেশি কোচ ইস্টবেঙ্গলে! জোর জল্পনা ময়দানে]
The post সদস্য গ্যালারিতে বসে মদ্যপান, দুই বহিরাগতকে নিয়ে হইচই মোহনবাগানে appeared first on Sangbad Pratidin.