সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার রাতে শারজার যে পিচে কেকেআর (KKR) বনাম আরসিবির (RCB) ম্যাচটা হল, সেটা যে মোটেই সহজ পিচ ছিল না, তা নাইটরা ব্যাট করার সময়ই বোঝা গিয়েছে। আর শুধু নাইটরা কেন, ব্যাঙ্গালোরের অন্য ক্রিকেটাররা যখন ব্যাট করছিলেন তখনও মনে হচ্ছিল এ পিচে ব্যাট করা ততটা সহজ হবে না। বল পড়ে ব্যাটে আসছিল না। অতিরিক্ত বাউন্সও ছিল। এমনকী, বিরাট কোহলি (Virat kohli), অ্যারন ফিঞ্চদেরও খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। এ হেন মাঠে এবি ডি’ভিলিয়ার্স যে খেলাটা খেললেন, সেটা যে একমাত্র তাঁর দ্বারাই সম্ভব, তা এদিন একবাক্যে স্বীকার করে নিলেন কার্তিক-কোহলিরা।
বিরাট বললেন, “পিচ কঠিন ছিল। একজন অতিমানব ছাড়া সব ব্যাটসম্যানের খেলতে সমস্যা হয়েছে। আমরা টার্গেট করছিলাম ১৬৫ রানের আশাপাশে, সেখানে আমরা পেয়ে গেলাম ১৯৪ রান। আর সেটা সম্ভব হল শুধু ওই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের জন্য। এবি যেটা করল সেটা একমাত্র ওই করতে পারে। অসাধারণ ইনিংস।” ডি’ভিলিয়ার্স (AB de Villiers) নাকি নিজেও নিজের খেলায় চমকে গিয়েছেন। তিনি বলছিলেন, “এই পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি। আগের ম্যাচে শূন্য করেছিলাম। খুব খারাপ লাগছিল। ভালো লাগছে ভালো খেলেছি। আমি নিজের খেলায় নিজেই চমকে গিয়েছি। ১৯৫ রানের টার্গেট দিতে পেরে অবাক হয়েছি।” ৩৩ বলে ৭৩ রানের এই ইনিংসে একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। এই নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ২৩ বা তার কম বলে ৬ নম্বর হাফ সেঞ্চুরিটা করে ফেললেন এবি। এই ধরনের হাফ সেঞ্চুরি করার তালিকায় যুগ্মভাবে প্রথম স্থানে উঠে এলেন তিনি। এদিন এবি আইপিএলে নিজের ২২ তম ম্যাচের সেরার খেতাবটি জিতলেন। সেটাও একটা রেকর্ড। এদিন, বিরাট এবং এবির মধ্যে যে সেঞ্চুরির পার্টনারশিপ হল, সেটা ছিল এই জুটির দশম শতরানের পার্টনারশিপ। সেটাও আইপিএলে রেকর্ড।
[আরও পড়ুন: ব্যাটে–বলে দুরন্ত কোহলিরা, শারজায় কেকেআরের বিরুদ্ধে বিরাট জয় আরসিবির]
অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যখন অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে তখন জোড়া ধাক্কা খেয়েছে দিল্লি ক্যাপিট্যালস। দিল্লির অন্যতম সেরা ভরসা ঋষভ পন্থ অন্তত এক সপ্তাহ মাঠে নামতে পারবেন না। আরেক তারকা ইশান্ত শর্মা আবার চোটের জন্য পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ইশান্তের পরিবর্ত চেয়ে আবেদন করেছে দিল্লি।