কেকেআর: ১৩৮/৮ (লিন-৪৯, কার্তিক-২৯)
এসআরএইচ: ১৩৯/৫ (উইলিয়ামসন-৫০, শাকিব-২৯)
৫ উইকেটে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে দীনেশ কার্তিকের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই হায়দরাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি মগজাস্ত্রেও শান দিচ্ছিলেন নাইট নেতা। লড়াই যখন ভিভিএস লক্ষ্ণণের মতো মস্তিষ্কের বিরুদ্ধে, তখন কোনওরকম ঢিলেমি দেওয়ার উপায় নেই। হারের পর জয়ের সরণিতে ফেরার প্রস্তুতি ছিল বেশ পাকাপক্তই। কিন্তু এদিন বাদ সাধল বরুণদেব। তাঁর চোখ রাঙানিতেই সব সমীকরণ গেল ভেস্তে। আর বৃষ্টিভেজা ম্যাচ দেখে মন খারাপ করেই বাড়ি ফিরতে হল কেকেআর ভক্তদের।
এদিন শুধু দুটো শহরের নয়, লড়াইটা ছিল বঙ্গতনয় ঋদ্ধিমান সাহার বিরুদ্ধে তাঁর বাংলার। প্রাক্তন নাইট তারকা শাকিব-ইউসুফদের বিরুদ্ধে বর্তমান নাইটদের। তাই দুপক্ষেরই নিজেদের প্রমাণ করার তাগিদটা ছিল অনেকখানি। একদিকে কেকেআর বোঝাতে চাইছিল, তাদের নতুন তরুণ দলই সেরা। আর অন্যদিকে মণীশ পাণ্ডে ইউসুফরাও জানান দিতে চাইছিলেন, কলকাতা তাঁদের বাদ দিয়ে খুব একটা ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই দিনের শেষে কলকাতা হারলেও এক বাঙালি মনে মনে বেশ তৃপ্ত হলেন। তিনি ঋদ্ধিমান। যাঁর ব্যাট থেকে এল ১৫ বলে ২৪ রান।
[ফের নারীশক্তির জয়, কমনওয়েলথে সোনা জিতে নজির ভিনেশ-মনিকার]
শুধু খাতায়-কলমে নয়, হায়দরাবাদ দলের বোলিং লাইন-আপ যে দুর্দান্ত, গত দুটো ম্যাচেও তা প্রমাণিত। এমন দল স্কোরবোর্ডে যে রানই তুলুক না কেন, অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানেন বোলাররা ঠিক ম্যাচ বের করে নেবেন। তা সত্ত্বেও টস জিতে এদিন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন। আর তা বেশ ফলপ্রসূই হল। সন্ধে থেকেই তিলোত্তমার আকাশে মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছিল। ম্যাচ গড়ানোর সাত ওভারের পরই ছন্দপতন হল। সেই সঙ্গে ছন্দে থাকা ক্রিস লিনের ব্যাটিংয়েরও তাল কাটল। এক রানের জন্য আর হাফ-সেঞ্চুরিটা করা হল না তাঁর। আউটফিল্ড ভেজা। এমন অবস্থায় কি বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে কেকেআর? তা দেখতে ভিজে
গ্যালারির আসনের সঙ্গেই সিঁটিয়ে ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এক পশলা বৃষ্টি দর্শকদের আগ্রহে ভাটা ফেলতে পারেনি। কিন্তু আশঙ্কাই সত্যি হল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এদিন বড় রানে পৌঁছতে পারল না নাইটবাহিনী। তাছাড়া ভুবি-শাকিবদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে সব দলকেই এবার ফিকে মনে হচ্ছে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। আর ব্যাট করতে নেমে বাকি কাজটা সারলেন ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন। জয়ের হ্যাটট্রিক করে লিগ তালিকার শীর্ষে নিজামের শহর।
[কমনওয়েলথে সোনা জিতে বাড়ি ফিরেই আক্রান্ত ভারোত্তোলক পুনম]
তবে এদিনও কার্তিকের নেতৃত্ব নিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন থেকেই গেল। কেন অনভিজ্ঞ তরুণ গিলকে চাপের মুখে ব্যাট করতে পাঠালেন ডিকে? ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আরও আগে মাঠে নামতেই পারতেন। অন্যদিকে সুইংয়ে পারদর্শী মাভিকে প্রথম ১০ ওভারে বলই করতে দেওয়া হল না। ফলে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগই পেলেন না তাঁরা। জয়ে ফিরতে তাই ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মগজে আরও খানিকটা শান দিতেই হবে ক্যাপ্টেন কার্তিককে।
The post বৃষ্টিই কাল হল! ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের কাছে হার নাইটদের appeared first on Sangbad Pratidin.