স্টাফ রিপোর্টার: আইপিএলের (IPL 2022) জন্মলগ্ন থেকেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) ম্যাচটা কেকেআরের (KKR) কাছে আর পাঁচটা ম্যাচের মতো নয়। একেবারে আলাদা। অন্য ম্যাচগুলোর মতো এটা শুধুই জেতা কিংবা হারের প্রেক্ষিতে আবদ্ধ নয়। লড়াইটা সম্মানেরও। অথচ সোমবার সেই সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে নামার আগেই কেকেআর চরম এলেমেলো। একেবারে বিধ্বস্ত।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হারটা কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টকে শুধু কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে যায়নি, একইসঙ্গে লজ্জার সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে গিয়েছে। একটা টিম একশো কুড়ি বলও ব্যাট করতে পারছে না। অলআউট হচ্ছে তিরিশেরও বেশি বল বাকি থাকতে। এটাকে লজ্জার খতিয়ান পেশ ছাড়া আর কী বলবেন? তবু আন্দ্রে রাসেল ওই ইনিংসটা খেললেন বলে, না হলে কী হত সেটা ভেবে কেকেআর সমর্থকরাই শিউরে উঠছেন। তাই প্রথম পর্বে যতই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারানো যাক কিংবা রোহিত শর্মার টিম যতই লিগ টেবিলে একদম শেষে থাকুক না কেন, কোনওভাবেই কেকেআরকে সামান্যতম এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বরং শেষ কয়েকটা ম্যাচ বিচার্য হলে, অবশ্যই অ্যাডভান্টেজ রোহিতের মুম্বই।
[আরও পড়ুন: IPL 2022: ব্যাটে-বলে বিধ্বংসী চেন্নাই, সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে ‘শিষ্য’কে হারালেন ‘গুরু’ ধোনি]
শেষ ম্যাচে আবার রোহিত নিজে রানে ফিরেছেন। ফর্মে ফিরেছেন ঈশান কিষানও। তারউপর রেকর্ডের পরিসংখ্যানে মুম্বই কতটা এগিয়ে, সেটা সবার জানা। বিশেষ করে টুর্নামেন্টের বিজনেস এন্ডে এসেও নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট যেভাবে ওপেনিং স্লট নিয়ে ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলছে, তাতে আর যাই হোক, তাদের নিয়ে ভাল কিছু আশাই করাটাই বিলাসিতা।
শনিবার লউনউয়ের কাছে হারের পর শ্রেয়স আইয়ারদের প্লে অফের আশা মোটামুটি সমাধিস্থ। তবু আইপিএল লিগ টেবিলের জটিল ক্যালকুলাস বলছে, কেকেআরের একটা ক্ষীণ আশা রয়েছে। কিন্তু তার জন্য বাকি সব ম্যাচে জিততে হবে। তারপর বাকিদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেটা খাতায়-কলমে। বাস্তবে যে এবারের প্লে অফ কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে, সেটা কেকেআরও বুঝে গিয়েছে। বাকি তিনটে ম্যাচে শ্রেয়সরা (তার মধ্যে একটা আবার লখনউ সুপার জায়ান্টস আছে) সবগুলোতে জিতবেন, সেটা আর অতি বড় কেকেআর-ভক্তও ভাবছেন না।
বরং ভাবনা একটাই–সম্মানজনকভাবে বাকি আইপিএলটা শেষ করা। কেকেআর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম এসে স্বীকার করে গিয়েছেন, তারা পাওয়ার প্লে’তে জঘন্য ব্যাটিং করেছেন। তিনি বলেন, “পাওয়ার প্লে’তে আমরা প্রচণ্ড স্ট্রাগল করেছি। গোটা মরশুম ধরেই তা হয়ে এসেছে। প্রচণ্ড হতাশার এটা। পাওয়ার প্লে’তে উইকেট না হারিয়ে কীভাবে বাউন্ডারি মারা যায়, সেই পথটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।”
খুঁজে পেলে ভাল, কিছুটা সম্মানরক্ষা হবে। না হলে? লজ্জা আরও বাড়বে।