চেন্নাই সুপার কিংস: ১৭৮-৭ (ঋতুরাজ ৯২, মইন ২৩)
গুজরাট টাইটান্স: ১৮২-৫ (শুভমন গিল ৬৩, বিজয় শংকর ২৭)
গুজরাট টাইটান্স ৫ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই টানটান লড়াই। যেমন ম্যাচ দেখতে চেয়েছিলেন আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের লক্ষাধিক দর্শক, তেমনটাই উপহার দিল চেন্নাই সুপার কিংস এবং গুজরাট টাইটান্স। শেষ হাসি অবশ্য হাসল গতবারের চ্যাম্পিয়নরাই। শুভমন গিলের (Subhman Gill) অনবদ্য ইনিংস এবং রশিদ খানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে ৫ উইকেটে জিতল গুজরাট।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটান্স (Gujarat Titans) অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি সিএসকের। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে মাত্র ১৪ রানের মাথায় ডেভন কনওয়ের জোড়া স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন শামি। এই স্বপ্নের ডেলিভারিই তাঁকে আইপিএলের শততম উইকেটটি এনে দিল। শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে অবশ্য বেশি সময় নেয়নি চেন্নাই। ফর্মে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এদিন ৫০ বলে ৯২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। মূলত তাঁর ইনিংস ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানে পৌঁছে যায় চেন্নাই। অবশ্য ইনিংসের শেষ ওভারের ধোনি ধামাকা ভুলে গেলে চলবে না। শেষ ওভারে একটি ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারি হাঁকান ৪১ বছরের ধোনি। মাত্র ৭ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রোজা নিয়েও ‘ড্রামা’ রাখি সাওয়ান্তের! মাঝপথেই ভাঙলেন উপবাস]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল গুজরাট। যে ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) জাতীয় নির্বাচকরা বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছেন, তিনি এদিন বুঝিয়ে দিলেন পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ১৬ বলে ২৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ঋদ্ধি। এর আগে দুটি দুর্দান্ত ক্যাচও নিয়েছেন তিনি। ঋদ্ধির উইকেটের পর ইনিংসের হাল ধরেন শুভমন গিল। কিন্তু উলটোদিকে সেভাবে সঙ্গত পাচ্ছিলেন না তিনি। উইলিয়ামসনের চোট আগেই ধাক্কা দিয়েছিল গুজরাটকে। সাঁই সুদর্শন এবং হার্দিকের দ্রুত ফিরে যাওয়া চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়।
[আরও পড়ুন: নতুন ছবিতে জুটি বাঁধছেন পরমব্রত-অর্জুন, এবার ‘প্রান্তিক’-এর গল্প বলবেন দুই তারকা ]
তবে অন্যপ্রান্তে ৩৬ বলে ৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন গিল। তাঁর ইনিংসই ম্যাচে ফেরায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। ১৫ ওভারের মাথায় গিলের উইকেটের পতন ফের ধাক্কা দেয় গুজরাটকে। তখনও দরকার ছিল ৪০ রান। তবে, শেষদিকে চেন্নাই বোলিং বিভাগের অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে নিলেন গুজরাটের ব্যাটাররা। মাথা ঠান্ডা রেখে হার্দিকদের জিতিয়ে দিলেন বহু যুদ্ধের নায়ক রশিদ খান (Rashid Khan) এবং রাহুল তেওয়াটিয়া। ১৯ তম ওভারে তাঁর হাঁকানো একটা ছক্কা এবং একটি বাউন্ডারিই ম্যাচের রং বদলে দিল। শেষে ৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেল গুজরাট।