মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২১৮/৫ (সূর্যকুমার-১০৩, রাশিদ-৩০/৪)
গুজরাট টাইটান্স: ১৯১/৮ (মিলার-৪১, রশিদ-৭৯*)
২৭ রানে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে গুজরাটে গিয়ে হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলের কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিল রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিগ তালিকার তলানিতে পৌঁছে যাওয়ায় প্লে অফের পথ রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু সেই মুম্বই দলে সূর্যোদয় ঘটতেই শুরু হয় নতুন দিনের। এদিনও সেই সূর্যের সৌজন্যেই হারের মধুর প্রতিশোধ নিল মুম্বই। অন্ধকারেই রয়ে গেল রশিদ খানের দাঁতে দাঁত চাপা লড়াইয়ের কিস্সা।
ব্যাটার হিসেবে আইসিসি টি-টোয়েন্টির ক্রমতালিকার শীর্ষে থাকলেও চলতি আইপিএলের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি সূর্যকুমার যাদবের। কিছুতেই নিজের চেনা ফর্মে দেখা দিতে পারছিলেন না। তবে গত ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে ওঠেন ভারতীয় মিডল অর্ডারের স্তম্ভ। আর সেই সঙ্গে মুম্বই উঠে এসেছিল লিগ তালিকার তিন নম্বরে। আর নিজেকে আরও একধাপ ছাপিয়ে গেলেন সূর্য। ছক্কা হাঁকিয়ে আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। ১১টি চার এবং ছ’টা ছক্কা মেরে ৪৯ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। দুই পক্ষের তারকারাই হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান তাঁকে। মুম্বইয়ের স্কোরবোর্ডে তখন জ্বলজ্বল করছে ২১৮ রান। রোহিতদের ডেরায় যে রান তাড়া করে জয়ের মুখ দেখা কঠিন বইকী। গুজরাটও সেই লক্ষ্যে শেষমেশ ব্যর্থই হয়।
[আরও পড়ুন: বান্ধবীর সঙ্গে ককপিটে একান্তে থাকার জের, তিনমাস সাসপেন্ড পাইলট, জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়ার]
সূর্যকুমারের পাশাপাশি এদিন মুম্বইয়ের জয়ের কৃত্বিত্ব দিতে হবে দলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার আকাশ মাধওয়ালকেও। তিনিই পরপর ঋদ্ধিমান সাহা (২) ও শুভমান গিলের (৬) উইকেটটি তুলে নিয়ে গুজরাট টপ অর্ডারে জোর ধাক্কা দেন। আবার ক্রিজে সেট হয়ে ওঠা ডেভিড মিলারকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান। এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ ক্যাপ্টেন হার্দিকও (৪)। ফলে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে রশিদ খানের ৪ উইকেট তুলে নেওয়া এবং ব্যাট হাতে আইপিএলে প্রথমবার হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কাহিনি যেন অন্ধকারেই রয়ে গেল।
এদিনের জয়ের ফলে ফের তালিকার তিন নম্বরে উঠে এল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফলে প্লে অফে পৌঁছনোর লড়াই আরও জমিয়ে দিলেন রোহিত শর্মারা।