স্টাফ রিপোর্টার: ঝাড়খণ্ডের এক জেলা শহর গুমলা। খনিজ সম্পদের জন্য বেশ সুখ্যাতি আছে এই শহরের। ঐতিহাসিক পালকোট দুর্গ রয়েছে। যা টুরিস্টদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান। মঙ্গলবারের পর থেকে গুমলা নিয়ে আগ্রহের কারণ যে আরও অনেক বেড়ে যাবে, সেটা বলে দেওয়াই যায়।
এই শহর থেকেই উঠে আসা বছর একুশের ছেলেটাকে নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটবে, সেটা চব্বিশ ঘণ্টা আগেও কল্পনাতীত ছিল! রবিন মিঞ্জ হয়তো নিজেও ভাবতে পারেননি। আইপিএল দুনিয়ায় নতুন এক ইতিহাস লিখলেন। এই প্রথম কোনও আদিবাসী ক্রিকেটার সুযোগ পেলেন। বাবা একটা সময় সেনাবাহিনীতে ছিলেন। অবসরের পর রাঁচি বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করছেন।
ছোট থেকেই রবিনের ক্রিকেটের প্রতি প্রেম। সেটা দেখার পর তাঁর বাবা আরও বেশি করে ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ জুগিয়ে যেতেন। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে রাজ্য দলের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স রয়েছে। বেশ কয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে স্পটও করেছিল। কয়েকটা টিম ট্রায়ালেও ডেকেছিল। শেষমেশ অবশ্য সুযোগ আসেনি।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরকে তলব ইডির, আজই হাজিরার নির্দেশ]
এবছরের শুরুতেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের যে ইংল্যান্ড সফর হয়েছিল, তার জন্যও স্কাউট করা হয়েছিল রবিনকে। বড় শট খেলার একটা সহজাত ক্ষমতা রয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তাঁকে নেওয়ার পরিকল্পনাও করে রেখেছিল। তাই নিলামে(IPL 2024 Auction) শুরুটা চেন্নাই সুপার কিংস করার পরই মুম্বই রবিনকে নেওয়ার জন্য লড়াইয়ে নামে। কুড়ি লাখ বেস প্রাইস থেকে দাম ওঠে এক কোটিতে। তারপর অবশ্য চেন্নাই সরে আসে। ঠিক তখনই আসরে গুজরাট টাইটান্স। তবে এসময় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ লড়াইটা আরও আকর্ষণীয় করে দেয়। শেষমেশ ৩.৬০ কোটিতে গুজরাটই তুলে নেয় রবিনকে।