বাবুল হক, মালদহ: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের চারটি ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার নিয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার দময়ন্তী সেন। ধর্ষণ কাণ্ডগুলির তদন্তের অগ্রগতি জানতে শুরু তৎপরতা। মালদহের ইংরেজবাজার এবং দেগঙ্গা ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তকারী মোট ছয় আধিকারিককে তলব করা হয়েছে। শনিবার বিকেল চারটেয় লালবাজারে তলব করা হয়েছে তাঁদের।
গত ২৭ মার্চ ইংরেজবাজারের ওই নাবালিকা বাড়িতে একা ছিল। সেই সুযোগে প্রতিবেশী যুবক রাইহান শেখ ছাত্রীর মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ট্রেনে চেপে ভিনরাজ্যে পালানোর ছক কষে অভিযুক্ত। তবে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। শহরের স্টেশন রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় নাবালিকাকে লাগাতার যৌন নির্যাতনের পর খুনের হুমকি, গ্রেপ্তার পরিচিত]
নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। মামলা দায়ের হয়। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। দেগঙ্গা, মাটিয়া, বাঁশদ্রোণী এবং ইংরেজবাজারের মতো রাজ্যের চারটি ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার দময়ন্তী সেনকে। সেই ঘটনার তদন্তেই এবার ইংরেজবাজার ধর্ষণ কাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার, আইসি এবং এসডিপিও-কে তলব করা হয়েছে। এছাড়া দেগঙ্গা ধর্ষণ কাণ্ডের দুই তদন্তকারী আধিকারিককেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেল চারটের মধ্যে লালবাজারে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন কলকাতা পুলিশের দুই দক্ষ অফিসার জাভেদ শামিম ও দময়ন্তী সেন। সেসময় দময়ন্তী সেনের ‘অতি সক্রিয়তা’ ভাল চোখে দেখেনি রাজ্য সরকার। তাঁকে বদলি করা হয়েছিল অন্য পদে। এবার আবার ধর্ষণকাণ্ডের মামলার তদন্ত দেওয়া হল তাঁকে। আগামী ২০ তারিখ এই মামলার শুনানি।