সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে। এর মাঝেই আরও এক ভয়ংকর যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। গত ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। সঠিক সময়ে এর উত্তর দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তেল আভিভ। তবে আপাতত পরিস্থিতি শান্ত হলেও যুদ্ধের কালো মেঘ সরে যায়নি। সমর বিশ্লেষকদের আশঙ্কা যেকোনও সময় প্রতিশোধ নিতে ইরানে পালটা আক্রমণ শানাতে পারে ইহুদি দেশটি। এই আশঙ্কা থেকেই কি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে? কী বলছেন রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান?
অতীতেও ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে নানা অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। এবারও কী তেহরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে সেগুলোকেই নিশানা করবে তেল আভিভ? সোমবার এমনই প্রশ্ন করা হয় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসিকে। উত্তরে তিনি বলেন, "আমরা এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বেগে রয়েছি। ইরানে আমাদের পরিদর্শকরা রয়েছেন। সেদেশের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন সমস্ত পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: হামলা বাড়ছে, ভীত হিন্দুরা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বাইডেনকে তোপ মার্কিন কংগ্রেসম্যানের]
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে খুন হয়েছিলেন ইরানের দুই পরমাণু বিজ্ঞানী। তেহরান তাঁদেরকে হত্যা করার অভিযোগ তুলেছিল ইজরায়েলের বিরদ্ধে। ওই বছরই ভাইরাস ব্যবহার করে অত্যাধুনিক একটি সাইবার আক্রমণ হয়েছিল ইরানে। যার ফলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটেছিল। তখনও ইজরায়েল আর আমেরিকাকেই দায়ী করেছিল তেহরান। ফলে এইবারও বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোকে 'টার্গেট' করতে পারে তেল আভিভ।
বলে রাখা ভালো, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হয়। অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারান। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের ‘হাত’ ছিল বলে অভিযোগ তেহরানের। তার পর থেকেই ইজরায়েলকে লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল ইরান। অবশেষে সব আশঙ্কা সত্যি করে ইহুদি দেশটিতে আঘাত হানে তেহরান। সব মিলিয়ে প্রায় ২০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। কিন্তু ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার আগেই তাদের অধিকাংশই ধ্বংস করে দেয় ইজরায়েলের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম।